আগামী ২৮ নভেম্বর টানা দ্বিতীয়বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। হাইভোল্টেজ সেই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল। আর সেই দলেরই সুপ্রিমোকেই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন জেএমএম শীর্ষ নেতা হেমন্ত সোরেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত সদ্য সমাপ্ত হয়েছে ঝাড়খন্ড ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়েছে। এছাড়া উপনির্বাচন হয়েছে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রেও। বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই সবুজ ঝড় তুলে ফের রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাংলায় বারবার বিজেপি-কে পরাস্ত করে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ফের চর্চায় উঠে এসেছে। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধীদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশব্যাপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধান বিরোধী নেত্রী বা মোদীবিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। কোনোপ্রকার ‘ইগো’ নিয়ে বসে থাকলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
যদিও মমতার সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে যেন কল্যাণের পরামর্শই গুরুত্ব পেল। জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বলেন, ‘মানুষের রায়ে আমরা আনন্দিত। খোলা জায়গাতেই তাই শপথগ্রহণ হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি গোহারা করা সম্ভব হয়েছে। বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড দুই মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্ক সবাই জানেন। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতাদিদির উপস্থিতি পৃথক মাত্রা যোগ করবে। তবে ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছে আমন্ত্রণ যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত এবার হেমন্ত সোরেন রাজভবনের পরিবর্তে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে শপথগ্রহণ করবেন। সেজন্য দুটি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ওই শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।