একা মানুষের হুট-হাট কোথায় বেরিয়ে পড়াটা তেমন সমস্যার কিছু নয়৷ যখন-তখন ভ্রমনের মজা হয় দিগুন৷ একা ভ্রমণে তেমন কিছু মাথায় না রাখলেও চলে, হুট করে এক জায়গায় চলে যেতে পারেন৷ কিন্ত্ত সঙ্গে পরিবার বিশেষ করে শিশুরা থাকলে অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়৷ আবার যদি দেশের বাইরে কোথাও যেতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু বিষয় জানা জরুরি৷
খুব বেশি কিছু নেবেন না
শিশু হাঁটতে শিখলেও বেশির ভাগ সময়ে মা-বাবার কোলেই ঘুরতে হয় তাকে৷ তাই সারাক্ষণ তার এবং সঙ্গে থাকা মালপত্রের ভার বইতে গেলে কষ্ট হতে পারে৷ বিদেশে কী পাওয়া যাবে আর কী পাওয়া যাবে না, সেকথা ভেবে পুরো বাডি়টাকেই সঙ্গে তুলে আনার চেষ্টা করবেন না৷ যেখানে যাবেন সেখানকার খাবার সম্পর্কে একটু আগে থেকেই ধারনা নিয়ে নিন৷
শিশুর ঘুমের সময় বুঝে বিমানের টিকিট কাটুন
বিদেশযাত্রার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সময়ও লাগে বিস্তর৷ মাঝে আবার বিমান পাল্টাতেও হয়৷ এই যাতায়াতের ধকল সামলাতে বড়রাই অনেক সময়ে হিমশিম খেয়ে যান৷ ছোটদের যে সমস্যা হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য৷ তবে বুদ্ধি করে খুদের ঘুমের এবং খাওয়ার সময় বুঝে সেই অনুযায়ী যদি বিমানের সময় বেছে নেন৷ সে ক্ষেত্রে শিশুর উপর ততটা প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়৷
জরুরি কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখুন
ঝাড়া হাত-পায়ে থাকবেন বলে সমস্ত ব্যাগ, মালপত্র ‘মেন লাগেজ’-এ পাঠিয়ে দিলে কিন্ত্ত হবে না৷ হঠাৎ যদি শিশুর ডায়াপার পাল্টাতে হয়, ওয়েট টিসু্য প্রয়োজন হয়, চাইলেও সে সব পাবেন না৷ তাই শিশুর কাজে লাগে এমন সব কিছু ‘হ্যান্ড লাগেজ’ হিসেবে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করুন৷
প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন
শহরের বাইরে বেরোলেই অনেক সময়ে চেনা ওষুধ পাওয়া যায় না৷ বিদেশে যদি না পাওয়া যায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ একই রকম অন্য ওষুধ খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি বড়রা নিতে পারলেও ছোটদের জন্য তা একেবারেই ঠিক নয়৷ তাই খুদের প্রয়োজনে লাগে এমন সব ওষুধ সঙ্গে রাখুন৷
হাতে সময় নিয়ে বের হবেন
যেখানেই যান কেন, হাতে সময় নিয়ে যান৷ যাতায়াতের ক্লান্তি, ঠিক সময়ে বিমান ধরার উদ্বেগ এড়াতে ধীরেসুস্থে যাত্রা করুন৷ তা বলে আবার এত আগে বাডি় থেকে বেরোবেন না যে বসে থাকতে থাকতে নিজেদেরই কোমর ধরে যায়৷