লোকসভা ভোটের প্রচারে জাতিগত জনগণনা নিয়ে মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠাল বরেলি জেলা আদালত। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীকে ৭ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কংগ্রেস নেতার মন্তব্যকে ‘গৃহযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা’ বলে অভিযোগ করা এক আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
পিটিশনার পঙ্কজ পাঠক বলেন,আমাদের মনে হয়েছে রাহুল গান্ধী জাতিগত জনগণনা নিয়ে নির্বাচনের সময় যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টার মতো… আমরা প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ-বিধায়ক আদালতে মামলা দায়ের করি, যা খারিজ হয়ে যায়। এরপর আমরা জেলা জজ আদালতে যাই, সেখানে আমাদের আবেদন গৃহীত হয় এবং রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের তারিখ ৭ জানুয়ারি।
হায়দরাবাদে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের মধ্যে সম্পদের বণ্টন নিশ্চিত করতে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা করবে। দেশব্যাপী জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রতিশ্রুতি ছাড়াও এই সমীক্ষা করা হবে। এই মন্তব্যের পর বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করে।
রাহুল বলেন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি উপজাতি (এসটি) এবং সংখ্যালঘুরা ঠিক কতজন, তা নির্ধারণ করতে আমরা প্রথমে দেশব্যাপী জাতিগত জনগণনা করব। এরপর সম্পদের বণ্টন নিশ্চিত করতে আমরা একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা করব।
বিজেপির নেতারা রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে অভিযোগ করে, কংগ্রেস ‘দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত জনগণনা’ প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে সম্পদ পুনর্বণ্টন করতে চায়। গেরুয়া শিবিরের নেতারা কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিকে ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, কংগ্রেস নির্বাচিত হলে মুসলমানদের মধ্যে পুনরায় সম্পদ বিতরণ করবে।