প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা নেই তার। নেই সামাজিক কাজের কোনও উজ্জ্বল তকমা। তাঁকে দেখে কেউ বলবে না তিনি এই মুহূর্তে দেশের সেরাতম সম্মানের অধিকারী। সেই তিনিই পদ্মশ্রীর মঞ্চে কুড়িয়ে নিলেন দেশবাসীর কুর্নিশ। তিনি কর্নাটকের বাসিন্দা তুলসী গৌড়া । বয়স তাঁর ৭২ সারা জীবন ধরে তিন লক্ষেরও বেশি গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে আরও একটু সুন্দর ও সবুজ করেছেন তিনি।
এই কীর্তির জন্য সোমবার ট্রাডিশনাল পোশাকে, খালি পায়েই পদ্মশ্রী পুরস্কার নিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে। তুলসী গৌড়া খুব ছোটবেলা থেকেই প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবেসেছেন জঙ্গলকে। গাছ লাগানো, তাদের যত্ন করা, এসব ছিল তাঁর সহজাত। এত বছর প্রচারের আড়ালেই ছিলেন তিনি। নিঃশব্দে করে গিয়েছেন কাজ।
গত ৬০ বছর ধরে স্থানীয় এলাকায় যেখানে পেরেছেন গাছ লাগিয়েছেন। তাদের বড় করে তুলেছেন সন্তানস্নেহে। সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সাতজনকে পদ্মবিভূষণ , ১০ জনকে পদ্মভূষণ এবং ১০২ জনকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দিয়েছেন।
সেই তালিকাতেই ছিলেন তুলসী গৌড়া। যিনি স্থানীয়ভাবে বনের দেবী নামেও পরিচিতা। বন জঙ্গল নিয়ে তার অগাধ জ্ঞানের জন্যই তার এই পরিচয়। কর্নাটকের হোনালি গ্রামের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা। গতকাল দিল্লির পুরস্কার মঞ্চে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই পুরস্কার নিতে এগিয়ে যান তিনি।
সে সময় সামনে থাকা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে হাত জোড় করে নমস্কার করেন তিনি। এরপর তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।