৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত ঘিরে দেওয়া হবে কাঁটাতার দিয়ে। ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে। উত্তর-পূর্বের রাজ্য মনিপুর উত্তপ্ত হওয়ার পর থেকেই সমস্যা বাড়তে থাকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে। সেই কারণে ঘিরে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, মায়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল ইতিমধ্যে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
ভারত-মায়ানমার সীমান্ত অস্ত্র , গোলাবারুদ মাদকের চোরাচালানের জন্য পরিচিত। এই এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালানের অভিযোগ প্রায়শই ওঠে। মণিপুরে অশান্তির অন্যতম কারণ হিসাবেও সীমান্তের এই পরিস্থিতিকেই ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কাঁটাতার বসানো এবং সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মণিপুরের মোরের কাছে প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁটাতার বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও মণিপুরের আরও ২১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে দিয়ে গেছে।
মণিপুরে অশান্তির আবহে মায়ানমারের সীমান্ত অঞ্চল কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অতীতে ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যন্ত যাতায়াতে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমান্তের দু’দিকেই ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও নথিপত্র ছাড়াই যাতায়াত করতে পারতেন। সেই চুক্তিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি প্রায় দেড় বছর পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের পরিস্থিতি। নতুন করে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরের পার্বত্য এলাকায়। এই অশান্তির নেপথ্যে মায়ানমারের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা জঙ্গি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মণিপুরের নিরাপত্তার প্রশ্নে এই কাঁটাতারের সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।