• facebook
  • twitter
Tuesday, 24 September, 2024

৯ বছর ধরে রায়পুরে দাঁড়িয়ে ৪ কোটি পার্কিং ফি বকেয়া বাংলাদেশের বিমানের 

রায়পুর, ৩ আগস্ট–  কলকাতার রাজপথে এখন সবথেকে বড় সমস্যা পার্কিং। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বেশিভাগই আবার কোনো না কোনো সংস্থার দ্বারা অধিকৃত পার্কিং জোন। চার চাকা হোক বা দু চাকা, সেই গাড়ি রাখার পার্কিং ফি কিন্তু খুব একটা কম নয়।  সাধারণত ঘণ্টার হিসাবেই পার্কিং ফি ধার্য হয়। আবার দীর্ঘ সময়ের জন্যও পার্কিংয়ে গাড়ি

রায়পুর, ৩ আগস্ট–  কলকাতার রাজপথে এখন সবথেকে বড় সমস্যা পার্কিং। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বেশিভাগই আবার কোনো না কোনো সংস্থার দ্বারা অধিকৃত পার্কিং জোন। চার চাকা হোক বা দু চাকা, সেই গাড়ি রাখার পার্কিং ফি কিন্তু খুব একটা কম নয়।  সাধারণত ঘণ্টার হিসাবেই পার্কিং ফি ধার্য হয়। আবার দীর্ঘ সময়ের জন্যও পার্কিংয়ে গাড়ি বা বাইক রাখার জন্য মাসের হিসেবে পার্কিং ফি দিতে হয়। কিন্তু তাই বলে আস্ত একটা বিমান যদি কোথাও ৯ বছরের জন্য দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় এবং তার পার্কিং ফি দাঁড়ায় ৪ কোটি তাহলে!

ঘটনাস্থল ভারতের ছত্তিশগড়, আর বিমানটি পড়শী দেশ বাংলদেশের। ছত্তীসগড়ের রায়পুরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বিমান। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে রায়পুরের বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমানটি। আর তাতেই পার্কিং ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা!

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এমডি ৮৩ বিমানটি ২০১৫ সালের ৭ অগস্ট ১৭৩ জন যাত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে মাসকট যাচ্ছিল । যাওয়ার পথে বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে রায়পুরের বিবেকানন্দ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হলেও, বাংলাদেশ আর বিকল বিমানটি ফেরত নিয়ে যায়নি। সেই সময় থেকেই রায়পুরে রয়ে গিয়েছে বাংলাদেশি বিমান।

রায়পুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৯ বছরে ৯০ বারেরও বেশি চিঠি লিখেছে, ইমেল পাঠিয়ে বকেয়া পার্কিং ফি দিতে বলেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কোনও জবাব দেয়নি বা ফি -ও পরিশোধ করেনি।

শেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে নিলামে তোলারও পরিকল্পনা করে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে এখনও রায়পুরের বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বিমানটি। তার পার্কিং ফি-ও বেড়ে চলেছে উত্তরোত্তর।