তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চায় ‍বাংলাদেশ সরকার

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা হাতে নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করল ‍বাংলাদেশ।সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তিস্তা জলচুক্তি বন্ধুত্বপূর্ণ পরি‍বেশে সম্পন্ন হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। ত‍বে পাশাপাশি বাংলাদেশ এ-ও জানায়, তিস্তা জন‍বন্টন চুক্তি না হলে আন্তর্জাতিক আইনের শরণাপন্ন হ‍বে তারা।
তিস্তা জল‍বন্টন নিয়ে ‍বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আলাপ–আলোচনা চলে এসেছে ভারত ও ‍বাংলাদেশ সরকারের। তিস্তু নদীর জলের একাংশ বাংলাদেশকে দেওয়ার ব্যাপারে চুক্তি কখনওই কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। উত্তরবঙ্গের মানুষের অসুবিধার কথা জানিয়ে আপত্তি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর জলবণ্টনের চুক্তি থেকে গিয়েছে যে তিমিরে সেই তিমিরে।
 
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আ‍বার নতুন করে ওই চুক্তি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ‍বাংলাদেশ। একই সঙ্গে তারা এ-ও জানিয়েছে, চুক্তি না হলে, আন্তর্জাতিক জলবণ্টনের নিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের দ্বারস্থ হ‍বে।
বাংলাদেশের জলসম্পদ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সইদা রিজওয়ানা হাসান সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমি তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সকলেরই তিস্তার চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা উচিত।’’ তাঁদের আশা ওই চুক্তি দু’পক্ষই বন্ধুত্বপূর্ণ পরি‍বেশে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে সক্ষম হবেন। আন্তর্জাতিক জলবণ্টন আইন অনুযায়ী নদীর উপরের পার এবং নীচের পার সংলগ্ন দুই দেশের মধ্যে জল ভাগ করে নেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে, তা মানা হবে সেই চুক্তিতে। চুক্তি না হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মনীতির শরণাপন্ন হতে পারে।
 
আপাতত ‍ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পরিস্থিতিতে তিস্তু জল চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান কী হ‍বে তা ভ‍বিষ্যৎই ‍বল‍বে। ।