বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার সরব হল ঢাকা। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন ভাদের হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দিয়েছে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরণের আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ঝাড়খণ্ডে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই সেখানে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। গত শুক্রবার সেখানে গিয়ে একটি জনসভায় ভাষণ দেন অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাসীন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেস জোটকে উদ্দেশ্য করে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে আক্রমণ শানান তিনি। অমিত শাহ বলেন, ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, আরজেডি, এবং কংগ্রেস অনুপ্রবেশকে ইন্ধন দিয়ে চলেছে। যদি আপনারা ঝাড়খণ্ডে সরকার পরিবর্তন করেন তবে আমি কথা দিচ্ছি , প্রত্যেক বাংলাদেশী , রোহিঙ্গাকে খুঁজে বের করবে বিজেপি সরকার। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করব।
এরপরই ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে লেখা প্রতিবাদপত্রে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক বলে, নেতাদের সতর্ক করা উচিত সরকারের। এই ধরণের মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ক্ষুণ্ণ করে।
এদিকে সোমবার ঝাড়খণ্ডের এক সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে শিবরাজ চৌহান প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি অর্থাৎ এনআরসি কার্যকর হবে। তিনি সোমবার বলেন, রাজ্যে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার ঝাড়খণ্ডের এক সভায় শিবরাজ বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরী করছেন। ভোটার আইডি কার্ডেও নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন। সে সব রুখতেই ক্ষমতায় এলে রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।’’