উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে বেঙ্গালুরুর সঙঘর্ষেও দোষীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে রাজ্য

উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে বেঙ্গালুরুর সঙঘর্ষেও দোষীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে রাজ্য। (Photo: IANS)

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী সি টি রাতি। এই সংঘর্ষে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দোষীদের থেকেই আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটকের সরকার। এর আগে উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোলমাল ছড়িয়ে পড়লে দোষীদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

ঠিক কীভাবে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে তা এখনও খতিয়ে দেখছে কর্ণাটকের পুলিশ। তবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। কর্ণাটকের মন্ত্রী সি টি রাতি জানিয়েছেন, পুরো গোলমালটাই পূর্ব পরিকল্পিত। জিনিসপত্র নষ্ট করার জন্য। পেট্রোল বোমা ও পাথর ব্যবহার করা হয়। ৩০০-র বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঠিক কারা গোলমাল বাধিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংঘর্ষে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন, তার ক্ষতিপূরণ আমরা উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতোই হামলাকারীদের কাছ থেকে আদায় করব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব বেঙ্গালুরুর কেজি হাল্লি এবং ডজি হাল্লি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুটি পুলিশ স্টেশন এবং এক কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।


ডিজি হাল্লি পুলিশ স্টেশনের বেসমেন্টে রাখা ২০০ টি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ স্টেশনেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট তিনজনের। গোলমালে আহত হন প্রায় ৬০ জন পুলিশকর্মীও। কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির এক ঘনিষ্ঠ ফেসবুকে কিছু একটা পোস্ট করেন। সেই আপত্তিকর পোস্ট ঘিরেই জ্বলে যায় শহরজুড়ে আগুন।

সংঘর্ষের পর বিস্তীর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা বারবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক সরকার।