প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক ও চন্দ্রশেখর আজাদের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মােদি টুইট করে লেখেন, ‘বাল গঙ্গাধর তিলক ভারতীয় নীতি ও মূল্যবােধের প্রতি একনিষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন। শিক্ষা ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে তাঁর মতাদর্শ এখনও ভারতীয়দের অনুপ্রাণিত করে।’
তিনি লেখেন, ‘মহান নেতা লােকমান্য তিলকের জন্ম জয়ন্তীতে করজোরে প্রণাম জানাই। এই মহান নেতার জীবন দর্শন ও নীতি আজকের সমাজেও প্রাসঙ্গিক। কেননা, দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ করে তােলা ও সামাজিক দিক থেকে প্রগতিশীল করে তােলার লক্ষ্যে ভারতবাসী ‘আত্মনির্ভর’ ভারত গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে- এটাই প্রমাণ।’
‘তিনি একাধারে শিক্ষক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজ চিন্তক ছিলেন। মহাত্মা গান্ধি তাকে ‘আধুনিক ভারতের স্রষ্টা’ হিসেবে সম্মানিত করেছেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘দ্য ফাদার অফ ইন্ডিয়ান আনরেস্ট’ বলতেন। তিনি স্ব-শাসনের পক্ষে কঠোর সওয়াল করেছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় নেতা যিনি ব্যক্তি পরিচয়ের গুরুত্ব নিয়ে সবর হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার, আমি সেটা ভােগ করব।’
চন্দ্রশেখর আজাদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘চন্দ্রশেখর আজাদ একজন ভবিষ্যত দর্শী ছিলেন। তিনি সুদৃঢ় ও ক্ষমতাশালী ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ভারত মাতার এই মহান সন্তানকে তার জয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করি। যুবক চন্দ্রশেখর আজাদ ব্রিটিশের হাত থেকে দেশকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে আত্ননিয়ােগ করেছিলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধির অসহযােগ আন্দোলনে যােগ দিয়েছিলেন।’