পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল বদলাপুরের যৌন হেনস্থাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডের। সোমবার ঠানে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিশ্চিত করা হয়। পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে গুরুতর জখম হন বদলাপুরে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডে। সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। এই এনকাউন্টার চলাকালীন আহত হন এক পুলিশকর্মীও।
পুলিশ ভ্যানের ভিতরেই পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অক্ষয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে গুরুতর জখম হয় অক্ষয়ও। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার থানে জেলার মুম্বরা বাইপাসের কাছে এই ঘটনা ঘটে। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ অক্ষয়কে জেল থেকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর নীলেশ মোরের কোমর থেকে আচমকাই সার্ভিস রিভলবার ছিনিয়ে নেয় অক্ষয় এবং তিনটি গুলি ছোড়ে। এরমধ্যে দু’টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও, একটি গুলি সরাসরি এসে লাগে ইন্সপেক্টর নীলেশের পায়ে। ওই ভ্যানে থাকা পুলিশকর্মীরা তৎক্ষণাৎ পাল্টা গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ অক্ষয় এবং পুলিশকর্মী নীলেশ দুইজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় অক্ষয়ের।
আগস্টের ১২ তারিখে স্কুলের শৌচাগারে চার বছরের দুই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল হয় বদলাপুর। পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগও ওঠে ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। পুলিশ ছাড়াও এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’ গঠন করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ । গত ১৭ আগস্ট গ্রেফতার হয় অক্ষয়।
বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সাফাইকর্মী ছিল অক্ষয় শিন্ডে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলের চার বছরের দুই ছাত্রীর উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল সে। তদন্তে জানা গেছে, অন্তত ১০-১২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উপরে যৌন নিগ্রহ চালিয়েছিল অক্ষয়। সেই অত্যাচারের কারণে দুই শিশুর যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের বদলাপুর। অভিযোগ, পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয় জনতা। দিনের পর দিন রেল অবরোধ, বনধও ঘোষণা করা হয়। চাপের মুখে পড়ে ঠাণের পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেন উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। দেড় মাসের মধ্যেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হল শিন্ডের ।