প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রয়াত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকী যোগ দিলেন এনসিপিতে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের উপস্থিতিতে এনসিপিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সালে বান্দ্রা পূর্ব আসনের শিবসেনা প্রার্থী বিশ্বনাথ মহাদেশ্বরকে হারিয়ে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জিশান। এবার ওই কেন্দ্রেই এনসিপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
এনসিপিতে যোগদানের পর জিশান সিদ্দিকী বলেন, এই দিনটা আমার এবং আমার পরিবারের কাছে খুবই আবেগপ্রবণ। এই কঠিন সময়ে আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল এবং সুনীল তাতকারেকে ধন্যবাদ। আমি বান্দ্রা পূর্ব আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। আমি নিশ্চিত মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমার সঙ্গে থাকবে এবং আমি পুনরায় বান্দ্রা পূর্ব আসন থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হব।
জোটের শর্ত মেনে বান্দ্রা পূর্ব আসনটি কংগ্রেস উদ্ধব ঠাকরে সেনাকে ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হন জিশান সিদ্দিকী। তারপরেই তিনি এনসিপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জিশান বলেন, মহাবিকাশ অঘদি ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কংগ্রেসের জেতা আসন শিবসেনাকে (উদ্ধব ঠাকরে) দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কংগ্রেস নেতা এবং মহাবিকাশ অঘদি নেতারা আমার সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা আমার সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছিল। এই কঠিন সময়ে অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল এবং সুনীল তাতকারে আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। বাবার স্বপ্ন ছিল এই আসনটি ফের আমাদের দখলে থাকবে। মানুষের অধিকারের জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। এই লড়াই করতে গিয়ে খুন হন তিনি। বাবার রক্ত আমার শিরায় প্রবাহিত হচ্ছে। এই লড়াই আমি লড়ব এবং বান্দ্রা পূর্ব আসন থেকে রেকর্ড ভোটে জিতব।
গত ১২ অক্টোবর হত্যা করা হয় বাবা সিদ্দিকীকে। অভিযোগ, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের দুষ্কৃতীরাই বাবাকে হত্যা করে জিশানের বান্দ্রার অফিসের সামনে।
মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি জিশান। আগস্ট মাসে জিশান অভিযোগ করেন, তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।
এনসিপির (অজিত পাওয়ার) দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে নবাব মালিকের মেয়ে সানা মালিক এবং নিশিকান্ত পাটিলের। সানা অণুশক্তি নগর থেকে লড়ছেন। আর নিশিকান্ত ইসলামপুরের আসনে জয়ন্ত পাটিলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। এর আগে বিজেপি নেতা নিশিকান্ত ভোঁসলে এবং প্রাক্তন বিজেপি সঞ্জয়কাকা পাটিল এনসিপিতে যোগ দেন।
২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। একই দিনের রাজ্যের ২৮৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৫টি আসন জিতেছিল। শিবসেনা ৫৬টি এবং কংগ্রেস ৪৪টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২২টি আসন জিতেছিল। শিবসেনা ৬৩টি এবং কংগ্রেস ৪২টি আসনে জয়লাভ করে।