করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ২১ মার্চ সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার। চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যে আগামী ২৫ মে থেকে কিছু কিছু ঘরোয়া রুটে বিমান চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যেই শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়ে দিলেন, অগস্টের আগেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা করা তবে সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল বলে জানান মন্ত্রী।
তাঁর কথায়, আমাকে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করছে, অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হবে? আমি তাঁদের বলতে চাই, অগস্টের আগে তা শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমায় নির্দিষ্ট তারিখ জিজ্ঞেস করলে আমি বলতে পারব না। কারণ সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
তবে ঘরোয়া রুটে বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে উষ্ম প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মত কয়েকটি রাজ্য। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে, এই তো এখনও কিছু কমল না, এর মধ্যেই ফ্লাইট চালু করে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি কাটাতে শনিবার অনলাইনে বক্তব্য পেশ করে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, যে বিমানযাত্রীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপে গ্রিন স্ট্যাটাস দেখাবে, তাঁদের কোয়ান্টাইনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বন্দে ভারত মিশন চালু করেছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিভন্ন দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার ভারতীয় দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছে ১৬৯ জন নাগরিক। তারা বাংলার ২০ টি জেলার বাসিন্দা।