মুম্বাই, ১ জুন – বলিউড তারকা সলমন খানকে খুনের চক্রান্ত করেছিল জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শাগরেদরা। সলমনের গাড়ি থামিয়ে পাকিস্তানি অস্ত্র পাচারকারীর কাছ থেকে কেনা একে ৪৭ বন্দুক দিয়ে গুলি করে তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়। মহারাষ্ট্রের পানভেলে সলমন খানের খামারবাড়ি যেখানে রয়েছে সেখানেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ছক কষে দুষ্কৃতীরা। এই চক্রান্তে জড়িত সন্দেহে পানভেল পুলিশ বিষ্ণৌই গ্যাংয়ের চার বন্দুকধারীকে শনিবার গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানে গেছে , সন্দেহভাজন শ্যুটারদের নাম হল, ধনঞ্জয় টাপসিং ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নহভি, ওয়াপসি খান ওরফে চিকনা এবং রিজওয়ান খান ওরফে জাভেদ খান।
বলিউড তারকা সলমন খানকে খামারবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খুনের ছক কষা হয়। সেখানে আগে থেকেই রেকি করেছিল চক্রান্তকারীরা। পুলিশ গ্রেফতার হওয়া চারজনের মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখেছে তাদের সলমনকে প্রাণে মারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সলমনকে হত্যা করতে যে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র, এমনকী একে ৪৭ চালানোরও নির্দেশ ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অজয় কাশ্যপ জেরায় বলেছে, পাকিস্তানের ডোগা নামে এক অস্ত্র পাচারকারীর সঙ্গে সে যোগাযোগ করেছিল। তার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এম ১৬, একে ৪৭ এবং একে ৯২ রাইফেল কেনার বরাত দেওয়া হয়েছিল।
পানভেল থানার এফআইআর অনুযায়ী একটি ভিডিওতে দেখা যায় , কাশ্যপ তার পার্টনারের সঙ্গে কথা বলছে। যেখানে সে বলছে, সলমন খানকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। অস্ত্র এসে গেলে এবং কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা গোল্ডি ব্রারের কাছ থেকে অর্থ এসে পৌঁছলেই কাজ শুরু হবে।
এই ঘটনায় গুজরাত থেকে ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পাল ও পাঞ্জাব থেকে অনুজ থাপানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এদের মধ্যে একজনের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় গত ১ মে। খুনের চক্রান্তের অভিযোগে নভি মুম্বই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই, আনমোল বিষ্ণোই, সম্পত নেহরা, গোল্ডি ব্রারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।
তদন্তে জানা গেছে, সলমন খানকে খুন করতে পারলেই লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রার শ্যুটারদের বিরাট অঙ্কের অর্থ দেবে বলে কথা ছিল। উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল দুই বাইক আরোহী সলমন খানের মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল। তারপর খুনের এই দ্বিতীয় ছক পুলিশের সামনে এল।