সোমবার লােকসভার ভেতরে ঘটেছিল ধুন্ধুমার। এক কংগ্রেস সাংসদ অভিযােগ করেছিলেন, তিনি শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। মঙ্গলবার গােলমাল ছড়িয়ে গেল সংসদ চত্বরের বাইরে। হামলা হল কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি’র দিল্লির বাড়িতে। যদিও সেই সময় বহরমপুরের সাংসদ তাঁর দিল্লির বাড়িতে ছিলেন না।
অধীরবাবুর পরিচিত একজন এবং বাড়ি সংলগ্ন কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীকে হেনস্থা হতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস।
এদিন নয়াদিল্লির সি-১/৪ হুমায়ুন রােডের যে বাংলােয় অধীর চৌধুরি থাকেন, সেই বাংলাের সঙ্গে একটি অফিসও রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ৩-৪জন দুষ্কৃতী জোর করে অধীরের অফিসে ঢুকে পড়ে বলে অভিযােগ। দুষ্কৃতীরা অধীরের অফিসে থাকা কর্মীদের নিগৃহীত করা শুরু করে। বেশ কিছু ফাইল এবং কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয় এবং ছিড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযােগ। অধীর চৌধুরির এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এদিন হেনস্থার মুখে পড়েছেন।
দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হামলাকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই হামলার নেপথ্যে ঠিক করা রয়েছে বা কোনও রাজনৈতিক দলের মদত আছে কিনা, সে বিষয়ে অধীর শিবির থেকে কিছু বলা হয়নি। দিল্লিতে ভয়াবহ হিংসার ঘটনায় রাজনীতি এখন উত্তাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা চেয়ে বিরােধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল লােকসভা।
বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে প্রায় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়েছিল। সেই সময় অধীর চৌধুরি এগিয়ে এসেছিলেন পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে। কিন্তু এবার হামলা চালানাে হল অধীর চৌধুরির বাড়িতে। এই হামলায় এখন সেই রাজনৈতিক উত্তাপের রেশ আছে কিনা, এখন সেটাই দেখার।