বছর শেষের আগেই ফের ব্যাঙ্ক পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট ডাক দিয়েছে প্রায় সব ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠন। এর ফলে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও বুধবার স্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষে টুইট করে জানানো হয়েছে, কর্মীদের কাজে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অতীতেও ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের ঢাকা ধর্মঘটে সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ হতে দেখা গিয়েছে।
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মনে করা হচ্ছে দু’দিন দেশে আর্থিক লেনদেন বড় রকমের ধাক্কা খাবে। তবে তৃতীয় সপ্তাহ হওয়ায় এই শনিবার ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ রুখতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করে চলেছেন কর্মীরা।
ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ আটকাতে তাঁরা যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বড় মাপের আন্দোলনে নামবেন, তা আগেই বলেছিলেন। এ বার সেই পথেই হাঁটছেন তাঁরা। ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে, ন’টি ইউনিয়ন।
এগুলি হল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফিসার্স কংগ্রেস, ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক অফিসার্স-এর আওতাভুক্ত।
বুধবার স্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষে জানানো হয়েছে, এসবিআই কর্মীদের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দিনে সব শাখা ও অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে কর্মীদের অনুরোধ করলেও ধর্মঘটের রেশ পড়তে পারে। আর তাতে ব্যাঙ্কের কাজ প্রভাবিত হতে পারে।
প্রথম দিন এটিএম গুলিতে টাকার জোগান থাকলেও শুক্রবার সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্কের কর্তারাও। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও ধর্মঘট নিয়ে অনড় কর্মী সংগঠনগুলি।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ) -এর সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্ক টাচলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন , ‘গত ২৫ বছর ধরে, ইউএফবিইউ-এর ব্যানারে আমরা ব্যাঙ্কিং সংস্কারের নীতিগুলির বিরোধিতা করে আ যা সরকারি ক্ষেত্রের ব্যাঙ্ক গুলিকে দুর্বল করার লক্ষ্যে তৈরি করা। কোনও মূল্যেই ধর্মঘট থেকে পিছু হঠা হবে না।’