রবিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের অপ্রত্যাশিত ঘোষণার পরে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কে লাগাম ধরবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে লালু-রাবড়ি মডেলের অনুকরণ করতে পারেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। তবে এই মুহূর্তে যোগ্যতার বিচারে দিল্লির মন্ত্রী অতীশি এবং গোপাল রাইকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মনীশ সিসোদিয়ার অনুপস্থিতিতে অতীশি আম আদমি পার্টির মুখ হয়ে উঠেছেন। আবার গোপাল রাই একজন সিনিয়র নেতা এবং কেজরিওয়ালের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহযোগী।
এদিকে আরও একটি শক্তিশালী নাম ভেসে আসছে। তিনি হলেন কৈলাশ গেহলট। কেজরিওয়াল জেল থেকে ফিরে আসার পর থেকেই নাজফগড়ের বিধায়ক গেহলট তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি একটি জাট পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। গেহলট হরিয়ানায় আপ -এর অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য একটি কৌশলগত পদ্ধতিও অবলম্বন করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে আগামী মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া জাট সম্প্রদায়ের বিজেপি-র প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনার সঙ্গে গেহলটের খুব ভালো সম্পর্ক সেই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কেজরিওয়ালের জেল চলাকালীন, এলজি সাক্সেনা ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার জন্য কেজরিওয়ালের পরামর্শকে উপেক্ষা করে সম্মানের জন্য অতীশিকে বাদ দিয়ে গেহলটকে বেছে নিয়েছিলেন। যদিও এর বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এদিকে, বিতর্কিত আবগারি নীতির মামলায় সিসোদিয়ার কথিত জড়িত থাকার কারণে মনীশ সিসোদিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কেজরিওয়াল বাতিল করেছেন।
প্রসঙ্গত রবিবার, কেজরিওয়াল একই মামলায় দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগের কারণে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন। তিনি জনগণের সামনে তাঁর সততা প্রমাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন, দিল্লিবাসীর সমর্থনে পুনরায় নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরবেন না।