উপসর্গহীন আচমকা মৃত্যু করোনায়, অন্ধ্রে আতঙ্ক

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

করোনাভাইরাসের এক নয়া ট্রেন্ড আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এই ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে কোনও রকম উপসর্গ ছাড়াই আচমকা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে কোনও কোনও ব্যক্তির। এর অর্থ ওই ব্যক্তি ভেতরে ভেতরে করোনা’য় আক্রান্ত হলেও কোনও উপসর্গ না থাকায় তা বোঝা যায়নি। উপসর্গ দেখা দিতে পরীক্ষা করে করোনা ধরা পড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হচ্ছে। এক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই পাচ্ছেন না ডাক্তাররা।

অন্ধ্রপ্রদেশে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখা দিয়েছে। বিজয়ওয়াড়ার এআরটি সেন্টারে কর্মরত এক চিকিৎসকের সম্প্রতি এই ভাবেই মৃত্যু হয়। হঠাৎ করে তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বুকের এক্সরেতে অস্বাভাবিকতা নজর করে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। তার আগের দিনও নিয়ম করে রোগী দেখেছেন ওই চিকিৎসক। একদিনের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

অনেকটা একই ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায় মৃত্যু হল আরও এক জনের। এই ব্যক্তি আবার সুপার স্প্রেডার বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর থেকে অন্তত ২০০ জনকে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত করেছেন তিনি। করোনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। তার তিন দিন আগে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।


এদের সবার ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ আগে ঘটে গেলেও কোনও উপসর্গ না থাকায় তা টের পাওয়া যায়নি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। প্রতি ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাস নিঃশব্দে শরীরের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। পরে যখন করোনা উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে, ততক্ষণে শরীরের এত ক্ষতি হয়ে গিয়েছে যে চিকিৎসার কোনও সুযোগই পাওয়া যায় না।

এই ভাবে উপসর্গহীন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাপে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। অন্ধ্রের সেভেন হিলস হাসপাতালের চিকিৎসক ভামসি কৃষ্ণা জানিয়েছেন যে করোনা চিকিৎসার সাফল্য নির্ভর করে সংক্রমণের মাত্রা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরে।