করোনা অতিমহামারীর জেরে আগামী দিনে মন্দার কবলে পড়তে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতি। তার হাত এড়াতে পারবে না ভারতও। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং সংস্থা গোল্ডম্যান সাচ জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) কমবে ৪৫ শতাংশের বেশি। আশঙ্কা করা হয়েছিল, জিডিপি কমবে ২০ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে কমেছে তার দ্বগুণের বেশি।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অবশ্য জিডিপি বাড়বে ২০ শতাংশ। চতুর্থ ও পঞ্চম ত্রৈমাসিকে জিডিপি যথাক্রমে ১৪ শতাংশ ও সাড়ে ছয় শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গোল্ডম্যান সাচের দুই অর্থনীতিবিদ প্রাচী মিশ্র ও অ্যান্ড্রু টিলটন গত ১৭ মে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। তাতে বলেন, ২০২১ সালের আর্থিক বছরে প্রকৃত জিডিপি কমবে পাঁচ শতাংশ। এর ফলে ভারত এমন মন্দার কবলে পড়বে যা অতীতে কখনও পড়েনি।
ভারতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে মোট পাঁচবার মিডিয়ার সামনে বক্তব্য পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকা কীভাবে খরচ করবে। ওই প্যাকেজের পরিমাণ ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদনের ৯০ শতাংশের সমান।
গোল্ডম্যান সাচের অর্থনীতিবিদরা বলেন, গত কয়েকদিনে অর্থনীতিতে কয়েক দফা সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি সংস্কারই মাঝারি মেয়াদের। সুতরাং অর্থনীতির ওপরে অবিলম্বে তাদের প্রভাব পড়ার সম্ভানা কম। সরকারের সংস্কার কর্মসূচি কীভাবে মাঝারি মেয়াদে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে, সেদিকে আমরা নজর রাখব।
ভারতে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ৩০২৯।