দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আফগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর দলের কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে এই ঘোষণা করেন আপ সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, আগামী দু’দিনের মধ্যে দিল্লির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে বৈঠকে বসবে বিধানসভা পরিষদীয় দল।

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তাফার ঘোষণার পর কেজরিওয়াল দাবি করেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির বদলে চলতি বছর নভেম্বরেই দিল্লির নির্বাচন হোক। এবছর নভেম্বরে মহারাষ্ট্রেও নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

কেজরিওয়াল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। আমি দাবি জানাচ্ছি, মহারাষ্ট্রের সঙ্গেই দিল্লিতে ভোট হোক। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আম আদমি পার্টির অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবে।


কেজরিওয়াল বলেন, আমি অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। দু’দিন পর আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব। মানুষ নিজেদের রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না। আর কয়েক মাস বাদের দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

কেজরিওয়াল নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কিছু বলেননি। আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর কথায়, ২-৩ দিন বাদে একটি বৈঠক হবে, সেখানে আমরা ঠিক করব কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। আমি এবং মণীশ সিসোদিয়া ‘জনতার আদালত’-এ যাচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে রয়েছে।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ২১ মার্চ থেকে জেলবন্দি কেজরিওয়াল। মাঝে কিছুদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার সারেন তিনি। এর পর ফের আত্মসমর্পণ করেন। যদিও তিহাড়ে বন্দি অবস্থাতেই মুক্তির লড়াই চালাচ্ছিলেন কেজরিওয়াল।

কিছুদিন আগে ইডির মামলায় শীর্ষ আদালত জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। তবে জামিনে মুক্তির আগেই কেজরিকে জেলেই গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ফলে সিবিআই ফাঁসে আটকা পড়ে জেলমুক্তির অধরাই থেকে যায়। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন।

নতুন করে ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জামিন চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি মোটেই অবৈধ নয়। গ্রেপ্তারির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এজেন্সির হাতে। ৫ আগস্ট এই মামলায় হাই কোর্টে কেজরির আবেদন খারিজ হওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৩ সেপ্টেম্বর সেই সুপ্রিম কোর্টই জামিন দেয় কেজরিকে।