• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি অধরা কেজরিওয়ালের 

দিল্লি, ২৪ জুন – সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি মিলল না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী  অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। জামিনের আর্জি জানিয়ে এবং দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রবিবার সুুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু তাঁর আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে এদিন দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা জানায়। অর্থাৎ, আবগারি দুর্নীতি

দিল্লি, ২৪ জুন – সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি মিলল না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী  অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। জামিনের আর্জি জানিয়ে এবং দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রবিবার সুুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু তাঁর আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে এদিন দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা জানায়। অর্থাৎ, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হচ্ছে আপ প্রধানকে।

হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন হওয়ায়, হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং বিক্রম চৌধুরী কেজরিওয়ালের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। বিপরীতে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু।আগামী ২৬ জুন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার কথা।
 
সওয়ালে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘ট্রায়াল কোর্টের জামিন অর্ডারের অপেক্ষা করেনি দিল্লি হাইকোর্ট। তার আগেই রুখে দেওয়া হয়েছে মুক্তির রায়। অর্ডার না দেখেই যদি হাইকোর্ট জামিনের রায় আটকে দিতে পারে তাহলে কেন হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না?’ এর জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘হাইকোর্ট যদি ভুল করে তবে আমরাও কি সেটির পুনরাবৃত্তি করব?’
 
আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়াই প্রমাণ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কোনও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নন।’ সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাদী-বিবাদী দুই পক্ষকেই এই ক্ষেত্রে অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সময় অতিবাহিত হচ্ছে বলেও জোরাল সওয়াল করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য, ‘কেন এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হবে না? আমাদের সপক্ষে তো কোর্টের রায় রয়েছে।’ জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘এখনই কোনও রায় দিলে বিষয়টিতে আগাম বিচার করা হয়ে যাবে। এটা কোনও নিম্ন আদালত নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত।’ মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা, এত সমস্যা কেন হচ্ছে?
 
সুপ্রিম কোর্টের গত ১০ মে দেওয়া রায়ের কথা স্মরণ করিয়ে আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালতই উল্লেখ করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তদন্তে তিনি কোনও বাধা দিচ্ছেন না। এর পাশাপাশি ১৭ মে-তে দেওয়া অর্ডারের কথা উল্লেখ করে আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে জামিনের জন্য আবেদনের ছাড় দিয়েছিল।
 
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়। সেই হিসেবে শুক্রবার তিহাড় জেল থেকে তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি।এরপর নিম্ন আদালতের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই ইস্যুতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল।