জম্মু-কাশ্মীরে এনকাউন্টার-নিকেশ ২ জঙ্গি, আহত ১ পুলিশ কর্তা ও ৪ সেনা জওয়ান 

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই ফের জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গুলির লড়াইয়ে ২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ১ জন পুলিশ অধিকারিক এবং ৪ জন সেনা জওয়ান। শনিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আদিগাম গ্রামে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।  জঙ্গিরা ওই গ্রামে আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে।  সেই মতো শুরু হয় জঙ্গিদের সন্ধানে অভিযান। আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা হামলা শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফেও শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। এখনও এই গুলির লড়াই অব্যাহত। কাশ্মীর জোন পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে , ‘কুলগামের আদিগাম দেবসর এলাকায় এনকাউন্টার চলছে। পুলিশ এবং সেনা জওয়ান একসঙ্গে এই অভিযান চালাচ্ছে।’   

ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে দুই দফা ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোট সম্পন্ন হবে আগামী ১ অক্টোবর। এরই মধ্যে ফের যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গোপনসূত্রে খবর আসে, জঙ্গিরা কুলগামে আত্মগোপন করে রয়েছে। সেই খবরের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালাতে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি লক্ষ্য করে বাহিনী এগিয়ে গেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। জবাবে বাহিনীর তরফেও গুলি চালানো শুরু হয়। শুরু হয় এনকাউন্টার। জঙ্গিদের গুলিতে ৪ জন সেনা জওয়ান এবং এবং ১ জন পুলিশ আধিকারিক আহত হন।বাহিনীর গুলিতে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহতরা হলেন, কুলগামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুমতাজ আলী ভাট্টি, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর সেনা জওয়ান মোহন শর্মা, সোহান কুমার, যোগিন্দর এবং মোহাম্মদ ইসরান।     
 
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। তাঁরা যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে জঙ্গিরা যাতে কোনওভাবে পালাতে না পারে, তার জন্য সব পথগুলি আটকে দেওয়া হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’  
 
গত তিন-চার মাস ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে দফায় দফায় এনকাউন্টার হয় যৌথ নিরাপত্তাবাহিনীর। জম্মু বিভাগের ডোডা, কাঠুয়া, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং রিয়াসির পাহাড়ি জেলাগুলিতে সেনাবাহিনী, স্থানীয় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর সফরের আগেই কিস্তোয়ার জেলায় একটি এনকাউন্টার হয়, যার পরিণামে শহিদ হন ২ সেনা জওয়ান।  অন্যদিকে উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় সেনা-জঙ্গি গুলি লড়াইয়ে ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।