• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সিএএ নিয়ে কেন্দ্র জানাল, নাগরিকত্বের আবেদন ঘরে বসেই

দিল্লি, ১২ মার্চ– সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে যাতে জনগণের মনে কোনও রকম ধোঁয়াশা তৈরি না হয় তারজন্য এবার নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র৷ এ ব্যাপারে কোথায় কী ভাবে আবেদন করতে হবে তার বিস্তারিত নির্দেশিকা তারা প্রকাশ করা হয়েছে৷ আবেদন প্রক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি কাদের আবেদন করতে হবে তাও জানানো হয়েছে৷ আবেদন পত্র কোথায় মিলবে, কোনও সরকারি

দিল্লি, ১২ মার্চ– সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে যাতে জনগণের মনে কোনও রকম ধোঁয়াশা তৈরি না হয় তারজন্য এবার নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র৷ এ ব্যাপারে কোথায় কী ভাবে আবেদন করতে হবে তার বিস্তারিত নির্দেশিকা তারা প্রকাশ করা হয়েছে৷ আবেদন প্রক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি কাদের আবেদন করতে হবে তাও জানানো হয়েছে৷ আবেদন পত্র কোথায় মিলবে, কোনও সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে কি না, কী ভাবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে৷
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬বি ধারায় অনলাইনে আবেদন করা যাবে৷ আবেদনপত্র পাওয়া যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটে (indiancitizenshipon line.nic.in)৷ আবার সিএএ-২০১৯ নামের মোবাইল অ্যাপেও এই আবেদনপত্র পাওয়া যাবে৷ ওই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোন থেকেও আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুকরা৷ অর্থাৎ ঘরে বসে মোবাইল থেকেই আবেদনের গোটা প্রক্রিয়া হয়ে যাবে৷
আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসাবে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষেরা৷ মূলত আবেদন করতে হবে যাঁরা ওই দেশগুলি থেকে ভারতে এসেছেন ১৯৭১ সালের পরে৷ প্রসঙ্গত, সেই বছরেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম৷ সেই সময় থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরাই সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন৷ এর পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা নয়৷
আবেদন অনলাইনেই জমা দিতে হবে জেলাস্তরের কমিটি (ডিএলসি) মারফৎ সিএএ সংক্রান্ত এমপাওয়ারড কমিটির কাছে৷ তার আগে কোন বিভাগে আবেদনপত্র জমা দেবেন, তা জেনে নিতে হবে আবেদনকারীকে৷ এ ব্যাপারে ওই ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপে গেলেই তাঁকে ‘গাইড’ করা হবে৷ ফর্মেও নানা ভাগ রয়েছে৷ কাকে কোন বিভাগের জন্য কত নম্বর ফর্ম তুলতে হবে, তা লেখা থাকবে সেখানেই৷
ফর্ম পূরণ করে এবং তাতে উল্লিখিত সমস্ত নথিপত্র দিয়ে অনলাইনে জমা দেওয়ার আগে অনলাইনেই ৫০ টাকা মূল্য দিতে হবে আবেদনকারীকে৷ এর পরেই তিনি প্রবেশ করবেন আবেদন জমা দেওয়ার পর্বে৷ আবেদন জমা দেওয়া হলে একটি ডিজিটাল প্রাপ্তিস্বীকার পত্র পাবেন আবেদনকারী৷
নাগরিকত্বের ডিজিটাল শংসাপত্র চাই না কি, কাগজের শংসাপত্র প্রয়োজন, তা জানতে চাওয়া হবে৷ আবেদনকারী কাগজে কলমে সই করা শংসাপত্রের জন্য আবেদন করলে তবেই তা পাবেন৷ তা না হলে ডিজিটাল শংসাপত্র দেওয়া হবে৷
আবেদনের ফর্ম জমা করার পর তা যাচাই করবে জেলাস্তরীয় কমিটি (ডিএলসি)৷ যাচাই হওয়ার পর ডিএলসি ইমেল অথবা এসএমএস মারফত আবেদনকারীকে জানাবে, কবে কখন তাঁকে ডিএলসির কাছে আসল নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে হবে৷
যাচাই সম্পূর্ণ হলে আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়ে আনুগত্যের শপথগ্রহণ করাবেন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক৷ তবে তথ্যে ঘাটতি হলে আবেদনকারীকে উপযুক্ত নথি জমা করানোর জন্য বলবে ডিএলসি৷ যদি আবেদনকারী প্রয়োজনীয় নথি জমা করাতে না পারেন অথবা যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য সশরীরে উপস্থিত না হন, কিংবা শপথ গ্রহণের জন্য সশরীরে হাজিরা না দেন, তবে ওই আবেদন বাতিল করার জন্য এমপাওয়ারড কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে৷
যাচাই সম্পন্ন হলে অনলাইনে ডিএলসির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সেই তথ্য নিশ্চিত করে জানাবেন৷ পাশাপাশি আবেদনকারীর শপথগ্রহণের প্রামাণ্য নথিও অনলাইনে জমা করাবেন তিনি৷ এর পরে যাচাই সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে আবেদনকারীর আবেদনপত্র তিনি পাঠাবেন এমপাওয়ারড কমিটির কাছে৷
এমপাওয়ারড কমিটি পুরোটা দেখে সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনে আরও অনুসন্ধান করতেই পারে৷ সন্ত্তষ্ট হলেই তারা নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করতে পারে৷ সন্ত্তষ্ট না হলে নাকচও করতে পারে৷
যদি ডিজিটাল শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা হয়, তবে তা অনলাইনেই মিলবে৷ যদি কাগজে সই করা শংসাপত্রের আবেদন করা হয়, তবে তা সংগ্রহ করতে হবে এমপাওয়ারড কমিটির দফতর থেকে৷ এটি আসলে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জনগণনা দফতরের অধিকর্তার দফতর থেকে৷