মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে মোদির ডিগ্রির প্রমাণ চেয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মুখ্য তথ্য কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারকে মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য গুজরাট হাইকোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। আবেদন খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়ালের করা কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল। সেখানে তাঁর অভিযোগ, হাই কোর্টের রায় শোনার পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন, তাতে মানহানি হয়েছে গুজরাট
পীযূষের অভিযোগ, কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী দিল্লি এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তা হলে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়ে উৎসব করা উচিত, কারণ তাঁদের প্রাক্তনী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু সব কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন তাঁরা । ডিগ্রির শংসাপত্র দেখানো হচ্ছে না ,কারণ সম্ভবত ডিগ্রিটি ভুয়ো। যদি সত্যিই ডিগ্রি থাকত তা হলে তা দেখাতে এত আপত্তি কেন ?’’ কেজরির এই মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পীযূষ।
পাশাপাশি আপ সাংসদ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পীযূষের অভিযোগ, ‘‘সঞ্জয় সিং বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি আসলে সত্যি, এটা প্রমাণ করতে।’’
পীযূষের এই মামলাতেই গুজরাট আদালত তলব করেছিল দুই আপ নেতাকে। গুজরাট হাই কোর্টে মামলার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাই কোর্ট আবেদন না শোনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরি এবং সঞ্জয়। সোমবার সেই মামলায় ধাক্কা খান সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া আপ সাংসদ।