‘দেশের শত্রুদের গুলি কর’ স্লোগান দিয়ে রীতিমতাে নায়ক হয়ে ওঠা বিজেপি নেতাদের গলায় ন্যূনতম অনুশােচনা নেই, উল্টে তাদের গলায় দোষ চাপা দেওয়ার প্রবল চেষ্টা দেখল ভারতবাসী। ছত্তিশগড়ে এক ইভেন্টে অনুরাগ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনারা মিথ্যে কথা বলছেন। প্রথমে আপনারা নিজেরা বিষয়টা ভালাে করে জানুন। কোনও ব্যাপারে অর্ধেক জ্ঞান ও ভুল জানা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
দিল্লি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর হয়ে রিঠালায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুরাগ ঠাকুর প্ররােচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে শহরে গুলি চলে। ফলে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যের ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারাধীন কোনও ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে পারি না। পুলিশ নিজের কাজ করছে। দাঙ্গায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। আমাদের দেশের শক্তি হল, দেশে বসবাসকারী ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষজন, যারা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করেন ও দেশ-জাতির উন্নয়নে তাদের অবদান রয়েছে।
সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরােধিতায় সােচ্চার মানুষদের নিশানা করে অনুরাগ ঠাকুর সহ বিজেপি নেতাদের প্ররােচনামূলক মন্তব্য দাঙ্গা পরিস্থিতির নেপথ্যে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। হাইকোর্ট বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা ওই আবেদনগুলির শুনানি করছে।
পাশাপাশি পরভেশ সাহিব সিং, অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের তরফে পুলিশকে এফআইআর করার জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে মামলাটি অন্য বেঞ্চে ওঠার পর পুলিশ চার সপ্তাহের স্বস্তি পেয়েছে।