• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিরোধী সাংসদদের ক্ষোভের মুখে অনুরাগ ঠাকুর

বাজেট অধিবেশনে কথা বলতে উঠে রীতিমতাে বিরােধী সাংসদদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

অনুরাগ ঠাকুর (File Photo: IANS)

বাজেট অধিবেশনে কথা বলতে উঠে রীতিমতাে বিরােধী সাংসদদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ঘটনার সুত্রপাত, লােকসভার অধিবেশন শুরু হলে দৌসার বিজেপি সাংসদ জসকউর মিনা জানতে চান সংসদের কল্যাণে সরকারের তরফে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মােদি প্রশাসনের কাজকর্মের খতিয়ান দিতে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর উঠে দাড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরােধী সাংসদরা। তাঁরা চেঁচিয়ে বলে ওঠেন ‘গােলি মারা বন্ধ কর’ ও ‘উত্তেজক মন্তব্য দিও না’।

বিরােধীদের চেঁচামেচিতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। হমিরপুরের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লি নির্বাচনে দলের প্রচারে গিয়ে। বলেছিলেন, ‘দেশদ্রোহিদের গুলি করে হত্যা কর’।

নির্বাচন কমিশনের তরফে অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে ৭২ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিজেপি’র তারকা প্রচারকের তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, অনুরাগ ঠাকুর নির্বাচন আচরণবিধি ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙঘন করেছে।

নির্বাচনী প্রচারে উত্তেজক মন্তব্য করার দায়ে ভারতীয় জনতা পার্টির তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ পরা সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর আর দলের হয়ে প্রচার চালাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশদ্রোহীদের গুলি কর বলে মন্তব্য করেছিলেন। তারপরই কমিশনের তরফে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতা অনুরাগ ঠাকুরকে তারকা প্রচারকারীদের তালিকা থেকে বাদ দেয়।

নির্বাচন কমিশনের তরফে নেতাকে শাে-কজ নােটিশ পাঠানাে হয়েছে। দলের হয়ে প্রচার চালাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর শাে-কজ নােটিশের জবাব দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে উনি প্রচার করতে পারবেন কিনা। তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার পর তাঁর পক্ষে প্রচার চালানাে একটু কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

যে কোনও বড় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ৪০ জন তারকা প্রচারকারী রাখতে পারে, ছােটো দল ২০ জন তারকা প্রচারকারী রাখতে পারে। নির্বাচনের তারিখ ঘােষণা হয়ে যাওয়ার পর তারকা প্রচারকারীদের তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলােকে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলােচনা করতে হয়।