হেরে যাচ্ছে অ্যান্টিবডি, ওমিক্রনকে ধ্বংস করবে ঘাতক টি-কোষ! দাবি বিজ্ঞানীদের

প্রতীকী ছবি (Photo:SNS)

করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতি ওমিক্রনকে ঘায়েল করার নতুন রাস্তা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষ অ্যান্টিবডি দিয়ে ওমিক্রনকে কাবু করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কোভিডের ওই জাঁদরেল প্রজাতিকে তাবু করতে পারে একমাত্র ঘাতক টি কোষ। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটাট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ ও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্টরা দাবি করেছেন, মানুষের শরীরে ইমিউন কোষ হল টি সেল। এই টি সেলই পারবে ওমিক্রনের মতো ছোঁয়াচে ভাইরাসের সংক্রমণ টেকিয়ে রাখতে। করোনার ডাবল ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক সময় চিন্তা বেড়েছিল।

এরপর ডাবল ভ্যারিয়েন্টের নানা রকম উপপ্রজাতি তাণ্ডব করেছে বিশ্বের নানা দেশে। যার মধ্যে আলফা-বিটা-গামা ও অতিসংক্রামক ডেল্টা প্রজাতি রয়েছে। এই ডেল্টার নানা শাখাপ্রশাখা রয়েছে।


তার ওপরে এখন সার্স কভ ২ ভাইরাসের নতুন করে মিউটেশন অর্থাৎ জিনের বিন্যাস বদল হয়ে ওমিক্রন নামে একটি প্রজাতি হানা দিয়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পরে রাশিয়া-ব্রিটেন আমেরিকা হয়ে এখন ভারতেও সংক্রামক হয়ে উঠছে এই নতুন ভাইরাসটি।

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনকে শুধুমাত্র অ্যান্টিবডি দিয়ে শায়েস্তা করা যাবে না। কারণ অ্যান্টিবডির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এই প্রজাতি। তাহলে একমাত্র উপায় টি কোষ। যে কোনও ভাইরাস বা প্যাথোজেন শরীরে ঢুকলে তার প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে সাড়া দেয় শরীর। যাকে প্রাইমারি ইমিউন রেসপন্স বলে।

ধীরে ধীরে রক্তের বি কোষ সেই ভাইরাসের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আর টি কোষ মেমরি সেল তৈরি করে যা ভাইরাল স্ট্রেনকে ভাল করে চিনে নিয়ে তাকে ভালোমতো আটকানোর চেষ্টা করে। বি কোষ ও টি কোষ উভয়ই অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি করে শরীরে।

কিন্তু সার্স কভ ২ ভাইরাসের সংক্রমণে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তার জীবনকাল খুবই কম। ভাইরাস তার জিনের গঠন বদলে শরীরের এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও নিজের প্রতিরোধ তৈরি করতে পারছে। তবে টি কোষের সঙ্গে তারা ঠিক এঁটে উঠতে পারছে না তাই অ্যান্টিবডি কমলেও টি কোষ কিন্তু সক্রিয়ই থাকছে।