ছত্তিশগড়ে আবার মাওবাদী নাশকতা। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলায় আইইডি বিস্ফোরণে সিআরপিএফের ‘কোবরা’ বাহিনীর ২ কমান্ডো গুরুতর জখম হয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই আবার আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। পুলিশের দাবি, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ তথা পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি-র পাতা আইইডি বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটে ।
সংবাদ সংস্থাকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কোবরার ২০৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডোরা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সঙ্গে বাসাগুড়া থানার গভীর জঙ্গলে অভিযানে গিয়েছিলেন। সেই সময় অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অসাবধানতার কারণে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন কোবরা বাহিনীর ২ কমান্ডো। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয় । এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
গত ৬ জানুয়ারি বিজাপুর জেলারই অম্বেলি গ্রামের পাশে বেদ্রে-কুটরু রোডে সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা। ‘ডিসট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর ৮ জওয়ান এবং গাড়ির চালক ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র এনে বস্তার ডিভিশন জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই আবার মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটল।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশন জুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় এবং জঙ্গলে চলছে তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন মাওবাদী গেরিলা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা।
সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার দাবি করেছেন, মাওবাদী অভিযানে সাফল্য এসেছে। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী শূন্য হবে দেশ, এমন দাবিও করা হয়েছে। যদিও যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যেই পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে মাওবাদীরা। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।