অন্ধ্র প্রদেশের তিরুমালায় অবস্থিত তিরুপতি মন্দির দর্শনে নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি নতুন দর্শন ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। এই নতুন ব্যবস্থায় মাত্র ২ ঘণ্টায় ভক্তরা ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরকে দর্শন করতে পারবেন।
বর্তমানে, তিরুপতি মন্দিরে যেতে ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা সময় লাগে, কারণ প্রতিদিন মন্দিরে প্রায় ১ লক্ষ ভক্ত পৌঁছন। সেপ্টেম্বরে তিরুপতির লাড্ডু প্রসাদে ভেজাল ঘির ঘটনা প্রকাশ্যে এলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর পরে তিরুপতি দেবস্থানম বোর্ড প্রসাদের ব্যবস্থা পরিবর্তন করে। বোর্ডের প্রথম বৈঠক থেকে দর্শনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বোর্ডের সদস্য জে শ্যামলা রাও বলেন, বিশেষ প্রবেশ দর্শনের জন্য কোটা বাতিল করা হবে। ভিআইপি দর্শন নিয়ে এর আগে বহুবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বোর্ড চায় না এ নিয়ে আর প্রশ্ন উঠুক। প্রতি মাসের প্রথম মঙ্গলবার তিরুপতির স্থানীয় নাগরিকদের জন্য দর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া এখন মন্দির চত্বরে নেতারা রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারবেন না। এটি করলে বোর্ড তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস জারি করবে।
সম্প্রতি, অন্ধ্র প্রদেশের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া লাড্ডু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রসাদে ব্যবহৃত ঘিয়ের নমুনা ৯ জুলাই, ২০২৪-এ নেওয়া হয়েছিল এবং ১৬ জুলাই পরীক্ষাগার থেকে রিপোর্ট আসে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ঘিয়ের নমুনায় ‘প্রাণীর চর্বি’, ‘শূকরের চর্বি’ রয়েছে। মাছের তেলও মিলেছে।
প্রসাদকে নিয়ে বিতর্ক রাজনৈতিক রূপ পেতে খুব একটা সময় লাগেনি। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু রাজ্যের আগের সরকারকে ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ‘মহাপাপী’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। বিরোধী ওয়াইএসআর পাল্টা আক্রমণ করে বলে, রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘জঘন্য অভিযোগ’ করেছে নাইডু।