যে অ্যাপ থেকে দ্রুততার সঙ্গে রেলের টিকিট কাটা যাবে, এমন দুটি অ্যাপ বানিয়ে, তার থেকে রীতিমত টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে। এমন সৃষ্টিসুলভ মনােভাব দেখিয়ে আপাতত জেলে রয়েছেন একজন খড়গপুরের আইআইটি’র প্রাক্তনী। তামিলনাড়ুর এই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ।
অভিযােগ, আইআরসিটিসি’র অ্যাপ খুব ধীরে চলে। তাই সেই অ্যাপকে বাইপাস করে নিজের মতাে করে দুটো অপ বানিয়ে ফেলে রেলের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে ফেলেছেন ওই আইআইটি’র প্রাক্তনী। অভিযুক্ত যুবকের নাম এস যুবরজ। তিনি তামিলনাড়ুর তিরুপুরের বাসিন্দা।
আরপিএফ সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে এস যুবরাজ জানিয়েছেন, তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে, রেলের টিকিট কাটার জন্য আইআরসিটিসি’র অ্যাপ খুব স্লো চলে। সেখান থেকে টিকিট কাটতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই এস যুবরাজ নিজে মাথা খাটিয়ে দু-দুটো অ্যাপ বানিয়ে ফেলেন।
একটি অ্যাপ ‘সুপার তৎকাল’ এবং অন্যটি ‘সুপার তৎকাল প্রাে’। এই অ্যাপ দুটি থেকে রেলের অ্যাপের থেকেও দ্রুততার সঙ্গে টিকিট কাটা যাচ্ছিল। তার ফলে খুব তাড়াতাড়ি এই অ্যাপগুলাে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোরে এক লাখের মতাে ইউজার ছিল অ্যাপ দুটির।
এর থেকেই বিষয়টি নজরে আসে আইআরসিটিসি’র। তদন্তে নেমে অ্যাপ দুটির সার্ভার সাের্স কোড, অ্যাপ্লিকেশন সাের্স কোড, এন্ড-ইউজার লিস্ট এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের সূত্র ধরে এস যুবরাজকে খুজে বের করে তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই অ্যাপ থেকে যুবরাজের আয় হত কয়েন সিস্টেমে। ২০ টাকা দিয়ে ১০ টি কয়েন কেনা যেত। আর এর টিকিট কাটার জন্য ৫ টি করে কয়েন খরচ হত। কয়েন থেকে যে টাকা আয় হত তা যুবরাজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হত।
আরও জানা গিয়েছে, এস যুবরাজ আন্না ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আইআইটি খড়গপুরের স্নাতকোর স্তরে ভর্তি হন। ২০১৬ সাল থেকেই তিনি অ্যাপ বানাতে থাকেন। আরপিএফ তাকে গ্রেফতারের পরে তার বিরুদ্ধে রেলের আইনে ১৪৩ (২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।