অমিত শাহের গাড়ির নম্বরে সিএএ কার্যকর হওয়ার সঙ্কেত ? চর্চা নেট দুনিয়ায় 

BJP chief Amit Shah. (File Photo: IANS)

দিল্লি, ১ মার্চ – লোকসভা নির্বাচনের আগেই বলবৎ করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ,  সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক বাণিজ্য সম্মেলনে  অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০১৯ সালে এই আইন তৈরি হয়ে গেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন কার্যকর করা হবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত নিয়ম জারি করা হবে।”  সেই জল্পনায় এবার মাত্রা জুড়ল অমিত শাহের গাড়ির নম্বর প্লেট। তাঁর নম্বর প্লেটেই নাকি লুকোনো রয়েছে সিএএ কার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত। 

বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময় অমিত শাহ যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, তার নম্বর ছিল ‘DL1C AA 4421’। অর্থাৎ ওই নম্বরের মধ্যেই ‘CAA’ শব্দটি আছে। নেট দুনিয়ার চর্চা , অমিত শাহর গাড়ির নম্বরে ‘CAA’ থাকাটা অনিচ্ছাকৃত নয়, ইচ্ছাকৃত। শাহী গাড়ির ওই নম্বর প্লেট সঙ্কেতবাহী বলে মনে করছেন অনেকেই। সিএএ কার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে ওই নম্বরে । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ির নম্বর প্লেটের ওই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  বা সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই আইনানুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে ভারত তা দিতে প্রস্তুত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দেন সিএএ বিলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইনের ধারা তৈরি হয়নি। অমিত শাহ জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে এই আইন লাগু হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।


তবে সূত্রের দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই ওই আইন কার্যকর হয়ে যাবে। সূত্রের দাবি, সিএএ-র বিধি প্রণয়নের কাজ প্রস্তুত । আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই বিধি কার্যকর করবে মোদি সরকার। এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ কার্যকরী হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে সাড়ে চার বছর ধরে বিষয়টি থমকে থাকায় হিন্দু উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সেই ক্ষোভ প্রশমনে সিএএ কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার।  দিল্লিতে এক আলোচনা সভায় শাহ তা স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, ‘‘সিএএ দেশের একটি আইন। তা অবশ্যই কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে কোনও সংশয় থাকাই উচিত নয়।’’