উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে গােয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । গােয়েন্দা রিপাের্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, পুলওয়ামা হামলার ছকে উপত্যকায় ফের হামলা চালানাের পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা। অমরনাথ যাত্রার মধ্যে হামলা চালানাের লক্ষে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। গােয়েন্দা রিপাের্টের ভিত্তিতে উপত্যকায় প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মােতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রীদের ও পর্যটকদের দ্রুত উপত্যকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, আইবি প্রধান অরবিন্দ কুমার, র’ প্রধান সামন্ত গােয়েল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা। সহ সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেনা বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করে সেনা ছাউনিতে হামলা করার চেষ্টা করেছিল।
গােয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কেরন সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। ভারত উপত্যকায় নিহত অনুপ্রবেশকারীদের দেহ পাকিস্তানকে ফেরত নিতে বলল– শুধু তাই নয়, সাদা রঙের পতাকা নিয়ে ভারতীয় বাহিনীর কাছে নিহত অনুপ্রবেশকারীদের দেহ ফেরত নেওয়ার জন্য আর্জি করতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, বিএটি প্রায়ই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে ঝােপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থেকে জওয়ানদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মুন্ডচ্ছেদ করার চেষ্টা করে।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যে রুটে তীর্থযাত্রীদের পাঠানাে হচ্ছে সেখানে ল্যান্ডমাইন ও স্নিপার রাইফেল পাওয়া গেছে। ফলে কোনওভাবেই তীর্থ যাত্রীদের অমরনাথ যাত্রায় পাঠানাে যাবে না। ৩৫,০০০ নিরাপত্তারক্ষী মােতায়েন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের ওপর আগেও চারবার হামলা চালানাে হয়েছিল। ২০০০ সালে পহেলগামে বেসক্যাম্পে জঙ্গি হামলা ৩২ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর জখম ৬০। ২০০১, ২০০২, ২০১৭ সালে অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চলেছিল।