দিল্লি, ১৩ মে – ৪ জুনের পর শেয়ার বাজারে ব্যাপক উত্থান হবে। ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশবাসীকে তাঁর পরামর্শ দিয়ে অমিত শাহ বলেন, এবার চারশোরও বেশি আসন পেয়ে আবার সরকার গড়বে এনডিএ। তার জেরে আবার উর্ধ্বমুখী হবে শেয়ার বাজার।
শেয়ার বাজারে ধস থামার কোন লক্ষ্মণ নেই। দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটের আবহে হুড়মুড় করে পড়ছে বিভিন্ন শেয়ারের দর। কিন্তু সেই সময়েই ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। সেনসেক্স ও নিফটি দুই সূচকই অনেকটাই নেমে গেছে। ফলে বড়সড় লোকসানের মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, লোকসভা নির্বাচনের অনিশ্চিত ফলাফল এর কারণ হতে পারে। যার জেরে বারবার ধস নামছে সূচকে।
তবে এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন চলাকালীন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে শেয়ার বাজারকে জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। সূচক ওঠাপড়ার সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক না থাকাই উচিত। তবে যদি এমন গুজব ছড়ায় যে বিজেপির খারাপ ফলের আশঙ্কায় শেয়ার বাজারে ধস নামছে, তাহলে আমি বলব ৪ জুনের আগেই সমস্ত শেয়ার কিনে ফেলুন।” শেয়ার বাজারের স্থিতিশীল উত্থানের জন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল সরকারের। তাঁর কথায়, সকলের ৪ জুনের আগেই শেয়ার কিনে রাখা উচিত, কারণ ৪ জুন ভোটের ফলাফলে বিজেপি ও জোটসঙ্গীরা ঝড় তুলবে। এর পরে শেয়ার বাজারেও ব্যাপক উত্থান হবে।
সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের চার দফা ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কণ্ঠেও সেই সুরই ধরা পড়ল।
সেনসেক্স ১ লাখের গণ্ডি পার করবে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য না করলেও, তিনি বলেন যে স্থিতিশীল সরকার থাকলে স্টক মার্কেটও ভাল পারফর্ম করে। সেই কারণে আমি বলছি যে আমরা ৪০০-রও বেশি আসন পাব। মোদি সরকারই ক্ষমতায় আসবে। তারপরে শেয়ার মার্কেটেরও উত্থান হবে। উল্লেখ্য, সোমবারও বাজার খোলার পরে ৭০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। আপাতত ৭২ হাজারের ঘরেই রয়েছে সেনসেক্সের সূচক।