• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিনমজুর খেটে স্ত্রীকে খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

লখনউ, ২৮ জানুয়ারি: রোজগারের অজুহাত দেখিয়ে স্ত্রীর খোরপোশ আটকানো যাবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে এমন মন্তব্য করেছে বিচারপতি রেণু আগরওয়ালের লখনউ বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে স্বামীকে দৈহিক পরিশ্রম করতে হবে। সেই পরিশ্রমের টাকা দিয়ে স্ত্রীর খোরপোষ মেটাতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দম্পতির বিয়ে হয়। বছর খানেক পরে পারিবারিক

লখনউ, ২৮ জানুয়ারি: রোজগারের অজুহাত দেখিয়ে স্ত্রীর খোরপোশ আটকানো যাবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে এমন মন্তব্য করেছে বিচারপতি রেণু আগরওয়ালের লখনউ বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে স্বামীকে দৈহিক পরিশ্রম করতে হবে। সেই পরিশ্রমের টাকা দিয়ে স্ত্রীর খোরপোষ মেটাতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দম্পতির বিয়ে হয়। বছর খানেক পরে পারিবারিক আদালতে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ আনেন স্ত্রী। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন স্ত্রী। পারিবারিক আদালত অত্যাচারিত স্ত্রীকে মাসে দুই হাজার টাকা খোরপোষের নির্দেশ দেয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে গিয়েও লাভ হল না ওই মহিলার স্বামীর। আদালতে ওই স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি মাসে দশ হাজার টাকা রোজগার করেন। তিনি বর্তমানে অসুস্থ। তাছাড়া পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। তাঁর সীমিত রোজগারে ঘরভাড়া, বৃদ্ধ বাবা-মা এবং বোনেদের ভরণপোষণ চলে।

যদিও ওই ব্যক্তি তার যুক্তির সমর্থনে আদালতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। তাঁর দাবি অনুযায়ী, স্ত্রীর আয় এবং অসুস্থতারও প্রমাণ দিতে পারেননি। মা-বাবা ও বোনেরা যে তাঁর ওপর নির্ভরশীল, সেবিষয়েও কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। সেজন্য আদালত জানায়, বিবাহবিচ্ছিন্ন স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়া স্বামীর কর্তব্য। প্রয়োজন হলে দৈহিক পরিশ্রম করে সেই টাকা উপার্জন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে স্বামীকে।