লখনউ, ২ ফেব্রুয়ারি– এলাহাবাদ হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় মামলাকারি মুসলিম পক্ষের৷ বারাণসীর জেলা আদালতের নির্দেশ বহাল রেখে এলাহাবাদ হাই কোর্টও শুক্রবার রায় দিল ‘সিল’ করা বেসমেন্ট ‘ব্যাস তয়খানা’য় পুজো-অর্চনা চলবেই৷ তবে মসজিদের ভিতরে পুজো-অর্চনা করার রায়ের সঙ্গেই বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারকে মসজিদ চত্বরের বাইরে এবং ভিতরের শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে৷
সম্প্রতি, এএসআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে মসজিদের ওজুখানা চত্বরে অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও মিলেছে৷ সেই সঙ্গেই হনুমান, বিষ্ণু, নান্দীর মূর্তিও থাকার কথা উল্লেখ ছিল রিপোর্টে৷ অস্বিত্ব মিলেছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যও৷ সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মসজিদে পুজো করার দাবিতে বারাণসীর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় একদল হিন্দুরা৷ দিন দুই আগেই ‘ব্যাস কা তয়খানা’ চত্বরে হিন্দু ভক্তদের উপাসনার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসীর জেলা আদালত৷ সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরে মধ্য রাতেই শুরু হয় পুজোপাঠ, আরতি৷ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুজো শুরু করেছে হিন্দু পক্ষ৷
জেলা আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি৷ বৃহস্পতিবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলার জরুরি শুনানির আবেদন করেন মুসলিম পক্ষ৷ ওই আবেদনে বলা হয়, হিন্দু পক্ষের সঙ্গে যোগসাজেশে যোগী প্রশাসন রাতের মধ্যেই জেলা আদালতের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করতে লেগে পডে়ছে৷ অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি৷ যদিও মুসলিম পক্ষের আইনজীবীদের এলাহাবাদ হাই কোর্টে যেতে বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের তরফে৷ তার পরই এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ৷