• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

গুজরাতে মন্ত্রিসভায় সবই নতুন মুখ

এবারে যারা মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ তাদের সিংহভাগ প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছে।

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Photo:SNS)

গত সপ্তাহে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি সহ পুরাে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে দ্রুত নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে । আর এই মন্ত্রিসভাকে সামনে রেখেই আগামী দিনে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের জন্য লড়বে বিজেপি।

পুরাে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় বিজেপির মধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে কি নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনাে মুখ আর দেখা যাবে না? বাস্তবে হলও তাই। পুরনাে মন্ত্রীরা কেউ আর ফিরতে পারলেন না নতুন মন্ত্রিসভায়। ব্র্যান্ড নিউ ক্যাবিনেট’ গুজরাতের নতুন মন্ত্রিসভা দেখে এমন মন্তব্যই করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

আগেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্ৰ প্যাটেলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘নাে রিপিট ফর্মুলা’র কথা। সেই সিদ্ধান্ত মেনেই নয়া মন্ত্রিসভা গঠন হল গুজরাতে। যদিও পদত্যাগী মন্ত্রীরা বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। কিন্তু তাদের মান ভঞ্জনে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা।

সে কারণে মন্ত্রিসভার শপথ নিতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুজরাতের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং সেই সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির উপস্থিতিতে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত ১০ জন পূর্ণ মন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এছাড়া আরও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রী এদিন শপথ নিলেন। ওজরাত বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদীকে মন্ত্রিসভার সঙ্গে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তিনি এবার নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।

জিতু বাঘানি মন্ত্রী হয়েছে, তিনি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এছাড়া নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন হৃষিকেশ প্যাটেল, পুরাণেশ মােদি, রাজেন্দ্র ত্রিবেদী, রাঘবর্জি প্যাটেল, কানুভাই দেশাই, নরেশ প্যাটেল, কীর্তি সিং রানা, নরেশ প্যাটেল, অর্জুন সিং চৌহান, প্রদীপ কুমার।

প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্ৰী নীতিন প্যাটেল অনেক চেষ্টা করেছিলেন মন্ত্রিসভায় ফেরার। কিন্তু তার ভাগ্যেও শিকে ছেড়েনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবারের মন্ত্রিসভায় তাকে রাখা হচ্ছেনা। আসলে মােদি-অমিত শাহের বাইরে গুজরাতে দ্বিতীয় কেউ নেই, যাদের কথা চলে।

ফলে ক্ষোভ থাকলেও সেই ক্ষোভকে আমল দেওয়ার প্রয়ােজন বােধ করছে না বিজেপি। ভােটের আগে গুজরাতে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে এই কৌশল অলম্বন করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ গুজরাতে করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বিজয় রূপানি সহ পুরাে মন্ত্রিসভাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট ছিলেন।

সেই ক্ষোভের প্রতিফলন যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিফলিত না হয়, সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী সহ পুরাে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য বিষয়, এবারে যারা মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ তাদের সিংহভাগ প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছে।