মিল্কিপুর উপনির্বাচন মিটতেই নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মৃত। আমাদের একটি সাদা থান দিতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে উপনির্বাচনে বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির ৫ জন নেতার একটি প্রতিনিধি দল লখনউতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যায়। রাজ্য সভাপতি শ্যাম লাল পালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানায়।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অভিযোগ করেন, মিল্কিপুরে ভোটে জেতার জন্য বিজেপি সব ধরণের কৌশল অবলম্বন করেছে। উপনির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিজেপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ ও প্রশাসন অবৈধ কার্যকলাপে সাহায্য করেছে। পুলিশ-প্রশাসনও বিজেপির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন করেছে। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অজিত প্রসাদ নিজেই কিছু লোককে জাল ভোট দিতে দেখেছেন।
অখিলেশের অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, মিল্কিপুর আসনে দলের খারাপ ফলাফল হবে বুঝতে পেরেই অখিলেশ যাদব অপপ্রচারের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন। বিজেপি মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী বলেছেন, মিল্কিপুরে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই হতাশা থেকে সমাজবাদী পার্টি মিথ্যা ছড়াচ্ছে। অখিলেশ যাদব অপপ্রচার-মিথ্যার রাজনীতির চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন। তিনি জাল অডিও, ভিডিও এবং ছবির মাধ্যমে অন্যদের দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পরাজয়ের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-কে দোষ দেবেন, যেমনটি পূর্ববর্তী নির্বাচনে মাঝেমধ্যেই দেখা গিয়েছে। বিজেপি কারচুপির সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, মিল্কিপুর উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিল্কিপুর উপনির্বাচনে মূলত সমাজবাদী পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এই আসনটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যা জেলার অংশ। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে ফৈজাবাদ লোকসভা আসন থেকে জয়লাভের পর সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদ আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, মিল্কিপুরই ছিল অযোধ্যা জেলার একমাত্র বিধানসভা আসন, যেখানে বিজেপি হেরেছিল।