শুধু দেশ নয় বিদেশেও আলোড়ন ফেলেছিল অযোধ্যার রাম মন্দির। তাতে আগত ভক্তের ঢল ভেঙেছিল সব রেকর্ড। রাম মন্দিরকে নির্ভর করেই অযোধ্যা যেন নতুন পরিচিত পেয়েছিল। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছিল মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করেন বিমানবন্দরের। মাত্র ৭ মাস আগের কথা। আর ৭ মাসের মধ্যেই লাটে উঠেছে সেই বিমানবন্দরের ব্যবসাপত্র। কারণ ক্রমশ কমছে পরিষেবা। যাত্রী নাম মাত্র।
২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যা রুটে বিমান চালাতে তাড়াহুড়ো করে উদ্বোধন করা হয় মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, পাটনা, কলকাতা সহ ২০টি শহরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল বিমান চলাচল।
কিন্তু সাত যেতে না যেতেই মাথায় হাত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। রামমন্দিরের টানে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থী আসবেন ভেবেই শুরু এই বিমানবন্দরে আপাতত নাম মাত্র যাত্রী জুটছে। কারণ সড়কপথে অযোধ্যা আসা আর বিমানে আসার খরচে ফারাক প্রচুর। যার ফলে অযোধ্যায় বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
অযোধ্যা বিমানবন্দর বর্তমানে ২০টির জায়গায় মাত্র সাতটি শহরের সঙ্গে বিমান চলাচল করছে এখন। কলকাতা, বেঙ্গালুরু, পাটনার মতো ১৩টি শহরের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেও এখনও কোনও আন্তর্জাতিক বিমান নামেনি। বিদেশি বিমানের জন্য পৃথক রানওয়ে তৈরির প্রকল্পও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।
