• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অজিত শিবিরই আসল ন্যাশনাল কংগ্রেস, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

মুম্বই, ৭ ফেব্রুয়ারি– অবশেষে সমাধান হল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বিবাদের৷ মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কারা এনসিপির মালিকানা পাবে তাই নিয়ে রীতিমতো সংঘর্ষ চলছে অজিত পাওয়ার এবং শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে৷ এবার সেই সংঘর্ষে ইতি ঘটাল নির্বাচন কংগ্রেস৷ অজিত পওয়ার শিবিরকেই আসল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বলে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ দলের প্রকৃত মালিকানা কাদের হাতে, গত ৬ মাস ধরে

মুম্বই, ৭ ফেব্রুয়ারি– অবশেষে সমাধান হল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বিবাদের৷ মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কারা এনসিপির মালিকানা পাবে তাই নিয়ে রীতিমতো সংঘর্ষ চলছে অজিত পাওয়ার এবং শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে৷
এবার সেই সংঘর্ষে ইতি ঘটাল নির্বাচন কংগ্রেস৷ অজিত পওয়ার শিবিরকেই আসল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বলে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ দলের প্রকৃত মালিকানা কাদের হাতে, গত ৬ মাস ধরে তা নিয়ে চলছিল শুনানি৷ দশটির বেশি শুনানির পরে অবশেষে অজিতদের দিকে রায় দিল কমিশন৷
এই ঘোষণা অবশ্য শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর কাছে বড়সড় ধাক্কাই বলা যেতে পারে৷ এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপির নাম ও চিহ্ন ব্যবহারের অধিকার থাকবে অজিত পওয়ার শিবিরের হাতে৷ পাশাপাশি শরদ পওয়ারকে নতুন দলের নাম ঠিক করতে বুধবার বিকেল তিনটের মধ্যে তিনটি নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন৷ হয়েছে এদিন৷
প্রসঙ্গত, শরদ পওয়ারের পক্ষে রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক৷ অন্যদিকে অজিতের পক্ষে আছেন ৪১ জন বিধায়ক৷ স্বাভাবিক ভাবেই ঘোষণার পরে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন অজিতের সমর্থকরা৷ এদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অজিত পওয়ার৷ শরদের ভাইপোকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পরে নির্বাচন কমিশন আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে৷ একে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি৷’
এদিকে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শরদ-ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানাচ্ছেন, ‘একই সিদ্ধান্ত কমিশন জানিয়েছিল শিব সেনার ক্ষেত্রেও৷ এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শরদ পওয়ার৷ তিনিই বছরের পর বছর দলের সভাপতি থেকেছেন৷ চাপে পডে় নির্বাচন কমিশনের এহেন রায় গণতন্ত্রের হত্যা৷ এটা দুর্ভাগ্যজনক৷’
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়৷ সদলবলে শরদ পওয়ারের এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পওয়ার৷ মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক৷ অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন৷ ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন৷