দিল্লি, ১৯ মার্চ– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই৷ একদিকে যেমন শ্রষ্টাকর্তাই বলছেন বিশ্বের চাকরির বাজার শেষ করে দেবে এআই৷ আবার অন্যদিকে এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতির পথে এগোতে চাইছে দেশের সেনাই৷ এআই ব্যবহার করে কয়েক প্রজন্ম পরের যুদ্ধকৌশল নীতি অবলম্বন করতে চলেছে দেশের সেনাবাহিনী৷ যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীতে একটি ‘এলিট প্রযুক্তি’র ইউনিট অন্তর্ভুক্ত করার দিকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কোমর বাঁধছে ভারত৷
আগামী দিনে যুদ্ধ কৌশল শক্তি ও সামর্থের চেয়েও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে সিগন্যাল বা যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর৷ যার হাতে যত দ্রুত যোগাযোগ কৌশল-অস্ত্র থাকবে, সে তত এগিয়ে থাকবে রণনীতিতে৷ আর সেই দূরদৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনী সিগন্যালস টেকনোলজি ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন গ্রুপ (এসটিইএজি) নামে একটি এলিট ইউনিট গডে় তুলতে চলেছে৷
সেনাবাহিনীর এক উচ্চ পদাধিকারী জানান, এই সময়ে তো বটেই ভবিষ্যতে অতি-উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাই হবে যে কোনও বাহিনীর মূল অস্ত্র৷ যুদ্ধক্ষেত্রে যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহারে দ্রুত বিবর্তন ঘটছে, তাতে যার হাতে যত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে, তারা তত এগিয়ে থাকবে৷ আধুনিক যুদ্ধে জওয়ানদের কাছে বাধাহীন ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা তুলে দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷
তথ্যপ্রযুক্তির এই এলিট ইউনিট স্টেয়াগ ১২ লক্ষ জওয়ানের কাছে শক্তিশালী ডিজিটাল যোগাযোগ পৌঁছে দেবে, সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছে ভারত৷ এই ইউনিটের মাথায় থাকবেন কর্নেল পদের একজন অফিসার৷ এই টিম তারযুক্ত এবং তারবিহীন দুরকমেরই প্রযুক্তিকে নিখুঁত বাধাহীনভাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হবে৷ তাঁর মতে, এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ও গবেষণার মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটবে৷