• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 October, 2024

ভোটের আগে ‘টার্গেট’ অনুরাগ গুপ্ত, সরানো হল ঝাড়খণ্ডের ডিজি-কে

আগামী ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৪৩টি বিধানসভা আসনে প্রথম দফায় নির্বাচন। ২০ নভেম্বর ৩৮ আসনে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন-এর সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি-আজসু-জেডিইউ-এলজেপি-র জোটের।

চব্বিশের লোকসভা ভোটের আবহে সরানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে। বাংলার পর এবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি অনুরাগ গুপ্তকে দ্রুত সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। শনিবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লোকসভা ভোটের আগে ডিজি রাজীব কুমারকে সরানো হলেও, ভোট মিটতেই তাঁকে ফের পদে ফিরিয়ে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, বিজেপি বিরোধী রাজ্যই কেন্দ্রের টার্গেট। সেই কারণেই ডিজিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের মতো ঝাড়খণ্ডও বিরোধী শাসিত রাজ্য। সে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল, কার্যনির্বাহী ডিজি অনুরাগ গুপ্ত ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের ‘ঘনিষ্ঠ’। এরপরই তাঁকে সরানোর নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, অনুরাগ গুপ্তর বিরুদ্ধে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সেই সময় তিনি এডিজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) ছিলেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই তাঁকে দিল্লিতে পাঠানো হয়। নির্বাচন মেটা না পর্যন্ত তাঁকে ঝাড়খণ্ডে ফিরতেও বারণ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এর আগে ২০১৬ সালেও রাজ্যসভার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অনুরাগ গুপ্তের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দাবি বিভিন্ন মহলের।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৪৩টি বিধানসভা আসনে প্রথম দফায় নির্বাচন। ২০ নভেম্বর ৩৮ আসনে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন-এর সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি-আজসু-জেডিইউ-এলজেপি-র জোটের। বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা, আসন্ন নির্বাচনেও যাতে কোনওরকম প্রভাব বিস্তার না করতে পারেন অনুরাগ গুপ্ত, সেই কারণে ভোটের আগেই তড়িঘড়ি তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।