দিল্লি, ৬ জানুয়ারি – ফের বিবাদের সুর ‘ইন্ডিয়া’ জোটে। জেডিইউর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঝায়ের অভিযোগ, আগামী লোকসভা ভোটে আসন রফার বিষয়টির কোনওভাবেই সমাধান করা হচ্ছে না। বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় বলেন, ‘‘আসন রফা চূড়ান্ত হলে আমরা গান্ধি জয়ন্তী থেকেই প্রচারে নামতে পারতাম। ইতিমধ্যেই তিন মাস দেরি হয়ে গিয়েছে।’’ এই বিলম্বের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন তিনি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বিরোধী জোট ত্যাগ করে আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এই আবহে নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ জেডিইউর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঝায়ের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। লালন সিংহকে সরিয়ে জেডিইউ-এর সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন নীতীশ। এরপর বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র আহ্বায়ক পদে তাঁকে মনোনীত করা হতে পারে বলেও বিরোধী জোট সূত্রে খবর হয়। কিন্তু কয়েকটি সহযোগী দলের আপত্তিতে সেই প্রক্রিয়া থমকে যায় বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।
গত বছর নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট তৈরি করতে নীতীশই প্রথম উদ্যোগী হন। দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বাম-সহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন নীতীশ। কলকাতায় এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন। নীতীশের আয়োজনেই পাটনায় ১৫টি বিজেপি-বিরোধী দলের শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ভীত তৈরিতে প্রথম বৈঠক করেছিলেন ২৩ জুন।
নীতীশকে বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়কের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে এমন জল্পনা চলছিলই । কিন্তু পাটনার পরে বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সঞ্জয়ের দাবি, ‘ইন্ডিয়া’ গঠনের পরেই নীতীশ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দ্রুত আসন ভাগাভাগির প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৩-এর গান্ধি জয়ন্তী থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করার। কিন্তু তা না হওয়ার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নীতীশের আসন রফার সূত্র বাস্তবায়িত না হওয়ার এক মাত্র কারণ কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেস নেতৃত্ব তখন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ব্যস্ত হয়ে ছিলেন।’’