কলকাতা:- ফের বালেশ্বরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেই একই ভাবে একই লুপে চলে এলো দুটি গাড়ি। বাঁকুড়ার ওন্দার ট্রেন দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে বালেশ্বরের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ট্রেন দুর্ঘটনার কথা। একই লুপে দুটি ট্রেন চলে আসায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছিল বালেশ্বরে। এক মাসও হয়নি ফের বালেশ্বরের মতো ট্রেন দুর্ঘটনা। বাঁকুড়ার ওন্দার কাছে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি মালগাড়ি লাইনের উপরে দাঁড়িয়েই ছিল দীর্ঘক্ষণ ধরে। আরেকটি মালগাড়ি দ্রুত গতিতে এসে সেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। কীভাবে একই ঘটনার পুরণাবৃত্তি হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর থেকে রেলের সুরক্ষা কবচ সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসে একই সময়ে। কারণ যে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে রেল তাতে কোনও ভাবেই একই সময়ে দুটি ট্রেন একই লাইনে আসতে পারে না। কীভাবে বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রেল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিিটও সেই ইঙ্গিত গিয়েছিল। তারপরেই বালেশ্বরের ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। এনআইএ-ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই বাঁকুড়ার ওন্দাদে একই ভাবে একই লুপে একই সময়ে দুটি ট্রেন। মালগাড়ির ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চালকের গাফিলতি বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষ্ণুপুরগামী মালগাড়ির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। মালগাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে রেল। ইতিমধ্যেই রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারীকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চালক সিগনাল দেখতে না পাওয়ার কারণেই এই বড় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। সিগনাল লাল ছিল। কিন্তু ভোর চারটে নাগাদ চালকের চোখ লেগে এসেছিল বলেই এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার সময় মালগাড়িটির গতি ছিল ১০০ কিলোমিটার। ফলে তীব্র গতিতে থাকা মালগাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। তার জেরে মালগাড়ির ১২টি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই রেল তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট পাইলটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।