আমলাতন্ত্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা কদাচিৎ ঘটে। কেরলের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসরগ্রহণের পর দিনই ওই পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ওই মুখ্যসচিবেরই স্ত্রী। মুখ্যসচিবের পদে ছিলেন ভি বেণু। তিনি ৩১ আগস্ট অবসর নেন। নতুন মুখ্যসচিব সারদা মুরলিধরণ তাঁর স্বামীর স্থলাভিষিক্ত হন। গত দুই বছর ব্যাপী মুখ্যসচিবের পদে ছিলেন ১৯৯০ সালের আইএএস ভি বেণু।
কেরলের মুখ্যসচিব ভি বেণু অবসর গ্রহণ করেন ৩১ আগস্ট। ঠিক তার পরের দিনই ১ সেপ্টেম্বর কেরলের মুখ্যসচিবের পদে বসলেন তাঁর স্ত্রী সারদা মুরুলিধরণ। এই দম্পতি ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস। কেরলে নতুন মুখ্যসচিবের পদে দায়িত্ব নেওয়ার সময় উস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। নিজের স্ত্রী তথা নতুন মুখ্যসচিবকে প্রথা মেনে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব ভি বেণু। বিজয়ন বলেন, শুধু মুখ্যসচিব নয়, জেলা শাসক পদেও এমন স্বামী বা স্ত্রীয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তাঁদের একজন এমন বহু নজির রয়েছে।
মুখ্যসচিব হওয়ার আগে কেরলের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ছিলেন সারদা। আমলা দম্পতির ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, একই ব্যাচের আমলা হলেও বেণুর তুলনায় বয়সে একটু ছোট সারদা। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী তারুর লেখেন, “ভারতে এই প্রথম বার কেরলের বিদায়ী মুখ্যসচিব ভি বেণু মুখ্যসচিবের দায়িত্ব তুলে দিলেন স্ত্রী সারদা মুরলীধরনের হাতে।”
মুখ্যসচিব হিসাবে স্বামীর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর সারদা বলেন, “আমরা প্রশাসনিক আধিকারিক হিসাবে দীর্ঘ ৩৪ বছর একসঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু কখনও ভাবিনি যে, আমরা আলাদা আলাদা সময়ে অবসরগ্রহণ করব।” জানা গিয়েছে, পরবর্তী আট মাস কেরলের মুখ্যসচিব হিসাবে দায়িত্বভার সামলাবেন সারদা। সারদা বলেন, ‘এই পদের দায়িত্ব সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। কারণ আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। তা নিয়ে আমাদের আলোচনাও হয়।’ তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কেরালার ওয়েনাড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে যে ক্ষতি হয়েছে তার পুনর্গঠনই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। ইতিমধ্যেই নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর পরামর্শদাতা ভি বেণু।
নিয়মমাফিকই মুখ্যসচিব হলেন সারদা মুরলিধরণ। সাধারণত যিনি রাজ্যের বরিষ্ঠতম আইএএস আধিকারিক , তাঁকেই এই পদে আনা হয়। ভি বেণুর পর তাঁর স্ত্রীই এই পদের জন্য যোগ্য।