টেক অফের পর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত্যু ১৮ জন যাত্রীর 

২৪ জুলাই – ফের বিমান দুর্ঘটনা নেপালে। বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান ‘টেক অফ’-এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই যাত্রীদের নিয়ে ভেঙে পড়ে।  বিমানটিতে ক্রু  এবং যাত্রী-সহ মোট ১৯ জন ছিলেন। বিমানবন্দরের কাছেই মাটিতে আছড়ে পড়ে সেই বিমানটি। দুর্ঘটনার পর বিমানটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। সেই বিমানটি সূর্য এয়ারলাইন্সের ছিল বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত  দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  বিমানচালক মণীশ শাক্যকে সঙ্কটজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শিনামঙ্গলের একটি হাসপাতালে। তাঁরও অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে ২০০ বিমানটি টেক-অফের জন্য রানওয়ে দিয়ে ছোটার সময় ছিটকে পড়ে।  সেই সময়ই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মাটিতে আছড়ে পড়তেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বিমানের কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিমানবন্দরের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে দমকলকর্মী এবং পুলিশ উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর জানান, উদ্ধারকারীরা বিমান থেকে পাইলটকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। এছাড়া কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকায় সবাইকে সেই সময় উদ্ধার করা যায়নি। পরে অবশ্য জানানো হয়, দুর্ঘটনার জেরে বিমানে থাকা অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সাউথ এশিয়া টাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়েই সূর্য এয়ারলাইন্সের বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
 

২০১০ সাল থেকে একের পর এক বড় বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে নেপালে। গত ১৪ বছরে অন্তত ১২টি এমন দুর্ঘটনা রয়েছে, যাতে  বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  এর সঙ্গে যোগ হল বুধবারের বিমান দুর্ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান ওড়ার পরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগুন ধরে গিয়ে পোখরায় পড়ে বিমানটি। সব মিলিয়ে ৭২ জন ছিলেন ওই বিমানটিতে। তাঁদের সবার মৃত্যু হয়।