• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

সেবির নোটিশ পেয়ে হিন্ডেনবার্গ জানাল, রিপোর্ট পেশে তারা গর্বিত

দিল্লি, ২ জুলাই: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে একসময় উত্তাল হতে দেখা গিয়েছিল সংসদ থেকে শেয়ার বাজারকে৷ ব্যাপক ধ্বস নেমেছিল আদানী গোষ্ঠীর ব্যবসায়৷ তাদের সংস্থার নথিভুক্ত প্রায় সবকটির দাম নেমে এসেছিল ধরাতলে৷ উত্তাল হয়েছিল সংসদ৷ যারপর তদন্তভার যায় সেবির হাতে৷ এতে নাম উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির কাছের হওয়াতেই আদানী গোষ্ঠীকে নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে৷

দিল্লি, ২ জুলাই: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে একসময় উত্তাল হতে দেখা গিয়েছিল সংসদ থেকে শেয়ার বাজারকে৷ ব্যাপক ধ্বস নেমেছিল আদানী গোষ্ঠীর ব্যবসায়৷ তাদের সংস্থার নথিভুক্ত প্রায় সবকটির দাম নেমে এসেছিল ধরাতলে৷ উত্তাল হয়েছিল সংসদ৷ যারপর তদন্তভার যায় সেবির হাতে৷ এতে নাম উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির কাছের হওয়াতেই আদানী গোষ্ঠীকে নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সেই মামলাতেই এবার সেই হিন্ডেনবার্গকে চিঠি পাঠাল সেবি৷

যদিও সেবির শো কজে চিঠিতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় হিন্ডেনবার্গ৷ ভারতীয় সংস্থাটির অভিযোগ, সেবির কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছে মার্কিন রিসার্চ সংগঠন৷ যদিও শোকজ নোটিসের পালটা জবাব দিয়েছে হিন্ডেনবার্গ৷ তাদের দাবি, আদানিকে নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তার জন্য হিন্ডেনবার্গ গর্বিত৷

গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা৷ মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ৷ ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম৷ হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়৷

সেই রিপোর্টকে কাঠগড়ায় তুলেই হিন্ডেনবার্গ গোষ্ঠীকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে সেবি৷ তাদের তরফে বলা হয়েছে, আদানিদের নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে সেবির বেশ কিছু কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ প্রিভেনশন অফ ফ্রডু্যলেন্ট অ্যান্ড আনফেয়ার ট্রেড প্র্যাক্টিস রেগুলেশন এবং রিসার্চ অ্যানালিস্ট রেগুলেশন- সেবি আইনের এই দুই ক্ষেত্র লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই শোকজ নোটিসে উল্লেখ করা হয়৷

মঙ্গলবার এই শোকজ নোটিস নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন সংস্থাটিও৷ তাদের মতে, “আদানি গোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করে আমরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছি, তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত৷ আমাদের কাছে এটাই সবচেয়ে গর্বের রিপোর্ট৷” সেই সঙ্গে সেবির নোটিসকে ‘ননসেন্স’ বলেও আখ্যা দিয়েছে হিন্ডেনবার্গ৷ তাদের দাবি, রিসার্চ রিপোর্ট সরাসরি বিরোধিতা করতে পারেনি আদানি৷ কিন্ত্ত সেবির এই নোটিস আসলে তাদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য, যারা ভারতের ক্ষমতাবানের দুর্নীতি ফাঁস করে দেয়৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে আদানির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷