মানুষের স্বাস্থ্যকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে জাল ওযুধের চক্র। ওষুধের পর এবার উদ্ধার করা হল জাল জলাতঙ্গের টিকাও। জাল ওষুধের রমরমা ব্যবসার অসাধু হাত যে কতদূর প্রসারিত হয়েছে তারই প্রমাণ এই জাল টিকা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো। ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, আমেদাবাদ ও লখনউতে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড থেকে জাল করা জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন, ব্যাচ নম্বর কেএ ২৪০১৪ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে সতর্কবার্তায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জাল ইঞ্জেকশন নিলে রোগীর বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। তাই প্রতিটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জাল ওষুধ কোথায়, কত পরিমাণ রয়েছে তা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমজনতাকেও সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভাল করে যাচাই না করিয়ে জলাতঙ্কের টিকা যেন কেউ ব্যবহার না করেন।
এর আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভেজাল ওষুধের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল। তারপরে আবার জাল টিকার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মানুষের বক্তব্য, ‘ওষুধ বা ইঞ্জেকশন যে জাল তা বোঝার উপায় কি!’
পাশাপাশি রেখে দেখলে আসল বা নকল বোঝার কোনও উপায় নেই। একই রকম দেখতে এই জাল টিকা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লি, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্লাড প্রেশার, ব্লাড সুগার, গ্যাস, হার্ট, কিডনির সমস্যায় ব্যবহৃত বস্তা বস্তা জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল। সেই তালিকায় নাম জুড়ল জলাতঙ্কের টিকারও । যদিও ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে শীঘ্রই জাল টিকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। জোরকদমে তল্লাশি চলছে।