উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের পর মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া, নেকড়ের কামড়ে জখম ৫

উত্তরপ্রদেশের  পর এবার নেকড়ের আতঙ্ক এবার মধ্যপ্রদেশেও। মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত খাণ্ডোয়ায় শুক্রবার রাতে নেকড়ের আক্রমণের মুখে পড়েন পাঁচ জন। তাঁরা রাতে বাড়ির বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় অতর্কিতে হানা দেয় নেকড়ে।  নেকড়ের হামলায় গুরুতর জখম হন ৫ জন। শনিবার সকালে একথা জানিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। জখমদের মধ্যে  এক জন   মহিলাও  রয়েছেন । আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 
বনদপ্তর সূত্রে খবর,  খাণ্ডোয়ার যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে সেটি ভোপাল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। ওই অঞ্চলটি জঙ্গলে ঘেরা।  প্রায়ই ওই এলাকায় বন্য কুকুর, নেকড়ে, শিয়ালের দেখা মেলে। বনদপ্তর জানায় , ভোর ৫টা থেকে ৬টা নাগাদ বনদপ্তরের কাছে খবর পৌঁছয়। তৎক্ষণাৎ বনদপ্তরের  একটি দল গ্রামে যায়।  আহতদের দেখতে হাসপাতালে যায় আরও একটি দল। এই হামলায় গুরুতর জখম হন এক মহিলা। তাঁর মাথায় কামড় বসিয়ে দেয় হিংস্র নেকড়ে। অন্যান্যদের হাত কামড়ে জখম করে। আহতদের চিকিৎসায় সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।শুক্রবার হামলার পরই নেকড়েটিকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পাঁচ জনের উপর হামলার ঘটনার পর আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা নেকড়েটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মারধর করেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি  ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দড়ি দিয়ে বাঁধা নেকড়েটি নির্জীব অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও সেটি মৃত কিনা তা স্পষ্ট করেনি বন দপ্তর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে বনদপ্তরের তরফে।
উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে সম্প্রতি মানুষখেকো নেকড়ের হামলার পর, খাণ্ডোয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মনে। যে গ্রামে নেকড়েটি হামলা করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তার আশেপাশের গ্রামেও। এদিকে আবার উত্তরপ্রদেশের এক গ্রামে আতঙ্কের জেরে কুকুরকেও মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের মহসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, কুকুরটিকে নেকড়ে ভেবে পিটিয়ে মেরে ফেলেন  গ্রামবাসীরা।