এমনিতেই ধুকছিল অর্থনীতি’তে। তার ওপর করােনা সংত্রমণ জোরাল ধাক্কা দিয়েছে দেশের অর্থনীতি’তে। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ সময় ধরে অচল ছিল অর্থনীতি’র চাকা। তার জেরে গত আগস্টে শুন্যের নীচে নেমে যায় জিডিপির হার।
সেই অন্ধকার কাটিয়ে আলাের রেখা দেখা যাচ্ছে বলে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কঠিন সময় পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানাের ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকেই সেই ইতিবাচক বার্তা এসে পৌঁছচেছ বলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
তবে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি এখনও যে নড়বড়ে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। আগামী বাজেটে দেশের পরিকাঠামাে উন্নয়নই যে সরকারের পাখির চোখ সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, জিএসটি আদায় বৃদ্ধি আশার আলাে জাগিয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা করােনা পর্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে। অক্টোবরেই যার পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
এ ছাড়া দু’চাকার গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ির বিক্রি, রফতানি, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়ােগ, পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই)-এর বৃদ্ধি ক্ষত সারিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাকি হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
যদিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের উর্ধগতি আশার আলাে দেখালেও পায়ের তলার মাটি এখনও ততটা শক্ত নয়। এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে। তাঁর মতে, রফতানি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অটুট রয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।