• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 October, 2024

৫৬ বছর পর বরফাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার সৈনিকের দেহ

৫৬ বছর পর উদ্ধার সৈনিকের দেহ। ১৯৬৮ সালে হিমাচল প্রদেশের বরফাচ্ছন্ন পাহাড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে সেই বিমানের আরোহী সেনা জওয়ান নারায়ণ সিংয়ের কোনও খবর মেলেনি। ফলে তাঁকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়।  এতদিন পর গত রবিবার হিমাচল প্রদেশ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় এবং বুধবার দেরাদুনে নিয়ে আসা হয়। 

৫৬ বছর পর উদ্ধার সৈনিকের দেহ। ১৯৬৮ সালে হিমাচল প্রদেশের বরফাচ্ছন্ন পাহাড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে সেই বিমানের আরোহী সেনা জওয়ান নারায়ণ সিংয়ের কোনও খবর মেলেনি। ফলে তাঁকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়।  এতদিন পর গত রবিবার হিমাচল প্রদেশ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় এবং বুধবার দেরাদুনে নিয়ে আসা হয়। 

 
নারায়ণ সিংয়ের স্ত্রীর আশা ছিল , একদিন তাঁর স্বামী ফিরে আসবেন।  আমৃত্যু বাসন্তী দেবী বিশ্বাস করতেন তাঁর স্বামী নারায়ণ সিং নিশ্চয়ই ফিরবেন। তাছাড়া তিনি ভাবতেন, তাঁর স্বামী যদি সত্যিই মারা যান তাহলে কেন তিনি তাঁর কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না ? তাঁর পুত্র জয়বীর বলেছিলেন যে, তিনি এখন তাঁর মায়ের আমৃত্যু প্রতীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাবেন। এদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নারায়ণ সিংয়ের দেহ প্রথমে হিমাচল প্রদেশ থেকে চন্ডীগড়, তারপর চন্ডীগড় ত্যেকে দেরাদুনে আনা হবে। এখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রুদ্রপ্রয়াগে। সেখানে স্থানীয় ইউনিট তাঁকে সামরিক সম্মান জানাবে। এরপর রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সড়ক পথে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর নিজের গ্রামে। উল্লেখ্য, আর্মি মেডিকেল কোরের জওয়ান নারায়ণ সিংকে তাঁর ইউনিফর্ম পরা পে-বুক দেখে শনাক্ত করা হয়। তাঁর বেতনের বইয়ে আর্থিক, মেডিক্যাল রেকর্ড এবং স্ত্রীর নাম রয়েছে।  এই শনাক্তকরণ সম্ভব না হলে ডিএনএ পরীক্ষা করার প্রয়োজন হত।